বুধবার, ২৩শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষা একই দিনে হচ্ছে না, নতুন রুটিন প্রকাশ *** বাগমারা বিদ্যালয়ের নাম বদল, নতুন নাম শহীদ জিয়া বিদ্যালয় *** মতপার্থক্য থাকলেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য আরও দৃশ্যমান করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** রক্ষণাবেক্ষণের কাজে কর্ণফুলী টানেলে ৪ দিন যান চলাচল সীমিত থাকবে *** শুল্কে সুবিধা পেতে আমেরিকার গম বাড়তি দামে কিনবে সরকার *** টুঙ্গিপাড়ায় ২৮২ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা *** ভোটের দিন গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা জারি ইসির *** বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ১০ হাজার হিন্দু পরিবারকে জমি দিচ্ছেন যোগী আদিত্যনাথ *** জেমসের কনসার্টের আয়ের অংশ দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের *** অতি দ্রুত নির্বাচনই উত্তরণের পথ: মির্জা ফখরুল

প্রতারণার ফাঁদ : চিপসের প্যাকেট খুললেই মিলছে ‘হাজার টাকার নোট’

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, ২০শে অক্টোবর ২০২৩

#

ছবি-ফাইল

পাঁচ টাকার চিপস কিনলেই দুই থেকে শুরু করে ‘হাজার টাকার নোট’ পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। রয়েছে ৭০ ‘টাকা’র নোটও। চকচকে নোটগুলোতে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাড়াও রঙিন কার্টুন ছাপা রয়েছে। ফলে এসব খেলনা (নমুনা) টাকার নোট পেতে দোকানে দোকানে ভিড় করছে শিশুরা।

চকচকে এই নোট দেখলে প্রথমে বোঝার উপায় নেই এটি আসল না নকল। টাকার গায়ে লেখা ‘খেলনা টাকার নমুনা’ দেখলে বোঝা যাবে এটি আসলেই নকল।

প্যাকেটে নেই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণের কোনো তারিখ। বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন নিম্নমানের এসব চিপস এভাবেই টাঙ্গাইলের সখীপুরে ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, কোমলমতি শিশুদের কাছে এটি খেলনা হলেও অনেকের কাছে প্রতারণার নতুন হাতিয়ার। উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশের মুদিদোকান ও চায়ের দোকানে বিক্রি হচ্ছে এসব চিপস।

চিপসের প্যাকেটে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, মেয়াদোত্তীর্ণের কোনো তারিখ পাওয়া যায়নি। তবুও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি আইন প্রয়োগকারী কোনো প্রতিষ্ঠানের।

তবে বিল্লাল হোসেন (২০) নামের এক যুবককে উপজেলার প্রতিমা বংকী দক্ষিণ চৌরাস্তা বাজারে এসব চিপসসহ আটক করেন স্থানীয়রা। এ সময় বিল্লাল জানান, সিলেট থেকে একদল তরুণ সখীপুরে এসে ফেরি করে পণ্য বিক্রি করেন। 

সম্প্রতি তারা ঢাকা থেকে এসব চিপস এনে সখীপুরের গ্রামাঞ্চলের দোকানগুলোতে পাইকারি বিক্রি করেন।

উপজেলার বাসারচালা বাজারে এসব চিপস হাতে নিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ার হোসাইন বলেন, কিছু অসাধু ব্যক্তি শিশুদের প্রলুব্ধ করে নিম্নমানের চিপস বিক্রি করতে অভিনব এ পন্থা অবলম্বন করছে।

মূলত এরা বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন নিম্নমানের খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করছে।

সাদা মোড়কে পাঁচ টাকার চিপসের প্যাকেট কিনলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসংবলিত নমুনা ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট পাওয়া যাচ্ছে। এ খেলনা টাকার লোভে শিশুরা পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিম্নমানের এসব চিপস কিনে খাচ্ছে।

আরো পড়ুন: অবাক করা মাটি, আগুনে জ্বলে পানিতেও ভাসে!

হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মোজাম্মেল হক জানান, খেলনা নোটের লোভে চিপস কিনতে শিশুরা বারবার দোকানে যাচ্ছে। মানহীন এসব চিপসে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিও রয়েছে।

এ ছাড়া বয়স্ক লোকদের এমন টাকা দিয়ে বিভ্রান্ত করার আশঙ্কাও রয়েছে। এতে বৃদ্ধরা টাকার পার্থক্য বুঝতে না পারায় প্রতারিত হবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্যসচিব ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঞ্জুরুল মোর্শেদ বলেন, খেলনা নোটের আকার-আকৃতি আসল নোটের সমান হলে তা অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

এসি/ আই.কে.জে/


চিপস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন