বৃহস্পতিবার, ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ৬১ বছর পর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে ছাড়লেন চোই *** নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে পাকিস্তান হাইকমিশনারের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক *** তলেতলে আ.লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছাত্রলীগের সব ভোট নিয়েছে শিবির: মির্জা আব্বাস *** নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় আসা কে এই সুশীলা কার্কি *** জাকসু নির্বাচন আজ, এখনো মেলেনি ডোপ টেস্টের ফলাফল *** শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেবেন মাহমুদুর রহমান-নাহিদ ইসলাম *** নেপালের কারাগার থেকে কমিউনিস্ট নেতা টপ বাহাদুরও পালিয়েছেন *** গাজায় ত্রাণ কার্যক্রমে নিরাপত্তার দায়িত্বে ইসলামবিরোধী আমেরিকান বাইকার গ্যাং *** নেপাল থেকে জামালদের ফেরাতে বিশেষ ফ্লাইট, অপেক্ষা অনুমতির *** ঘুষকাণ্ডে বিআইডব্লিউটিএর দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত

পকিস্তানের খ্রিস্টানরা ন্যায়বিচারের জন্য কাঁদছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, ১৮ই আগস্ট ২০২৩

#

ছবিঃ সংগৃহীত

পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগে বুধবার পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের পাঞ্জাব প্রদেশের ফয়সালাবাদে কমপক্ষে পাঁচটি গির্জায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার ঘটনা ঘটেছে। ঐ এলাকার জরানওয়ালা শহরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে দেশটির একদল উন্মত্ত জনতা। এ সময় খ্রিস্টানদের বেশ কিছু বাড়িঘরও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সেখানকার পুলিশ ও খিস্ট্রান নেতারা জানিয়েছেন। 

কোরান অবমাননার অভিযোগে অপ্রমাণিত একটি মামলাকে কেন্দ্র করে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের গির্জা এবং বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। হামলার শিকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সদস্যরা ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন করেছে। এসময় তারা কান্না করে বলেছিল যে, 'তাদের বিক্ষুব্ধ জনতার করুণায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।' 

চার্চ অফ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট বিশপ আজাদ মার্শাল এক্সে (টুইটার) একটি বার্তায় বলেছেন, “আমি এই বার্তা লিখতে গিয়ে শব্দগুলি ব্যর্থ হযচ্ছে। আমরা, বিশপ, পুরোহিত এবং সাধারণ মানুষ পাকিস্তানের ফয়সালাবাদ জেলার জরানওয়ালার ঘটনায় গভীরভাবে ব্যথিত। "  

তিনি আরও বলেন, "বাইবেল অপবিত্র করা হয়েছে এবং খ্রিস্টানদের নির্যাতন ও হয়রানি করা হয়েছে পবিত্র কুরআন লঙ্ঘনের মিথ্যা অভিযোগে। আমরা আইন প্রয়োগকারীর কাছ থেকে ন্যায়বিচার এবং পদক্ষেপের জন্য কান্না করছি।"

এক বিবৃতিতে সংখ্যালঘু জোট পাকিস্তানের চেয়ারম্যান আকমল ভাট্টি বলেছেন, "সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন খ্রিস্টান বাসিন্দাদের জানমাল রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।" 

তিনি আরও বলেন, “খ্রিস্টান কলোনীতে হামলার জন্য মসজিদে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল এবং জনগণকে উসকানি দেওয়া হয়েছিল। এর পরেও, পুলিশ কর্মকর্তারা কলোনি ও সম্পত্তির সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সময়মতো মোতায়েন করতে পারেনি।” 

জোট বলেছে যে ভিকটিমদের ভিড়ের করুণায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল এবং চরমপন্থী সংগঠনগুলিকে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের দরিদ্র লোকদের বাড়িতে আক্রমণ করার জন্য অবাধ সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, কিছু ষড়যন্ত্রকারী, তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ এবং শত্রুতার জন্য, খ্রিস্টান ছেলে রাজা মসীহের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। 

এই জোটের পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীকে এলাকা পরিদর্শন করে মনোবলের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

পাকিস্তান ক্যাথলিক বিশপের সম্মেলনের আর্চবিশপ ডক্টর জোসেফ আরশাদ পাঞ্জাব সরকারের কাছে দাবি করেছেন যে যারা পাবলিক সম্পত্তিতে হামলা করেছে এবং যারা গীর্জা এবং পবিত্র বাইবেলের অপবিত্রতায় জড়িত এই ধরনের দুর্বৃত্তদের উৎসাহিত করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

সেসিল অ্যান্ড আইরিস চৌধুরী ফাউন্ডেশনের (সিআইসিএফ) সভাপতি মিশেল চৌধুরীও এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে, সেন্টার ফর সোশ্যাল জাস্টিস (সিএসজে) বলেছে যে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত, প্রায় ১৯৮ জনের বিরুদ্ধে ব্লাসফেমির অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে 85 শতাংশ মুসলিম, ৯ শতাংশ আহমদী এবং৪.৪ শতাংশ খ্রিস্টান।  

১৯৮৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২ হাজার ১২০ জনের বিরুদ্ধে ব্লাসফেমি করার অভিযোগ আনা হয়েছে। 

তারা আরো জানান, পাঞ্জাব গত ৩৬ বছরে ব্লাসফেমি আইনের অপব্যবহারের ৭৫ শতাংশেরও বেশি রেকর্ড করেছে। সিএসজি যোগ করেছে, "পাকিস্তানের জনসংখ্যাতে তাদের অংশ (৩.৫২%) থাকা সত্ত্বেও মোট অভিযুক্তদের মধ্যে ৫২ শতাংশ সংখ্যালঘু রয়েছে।"I

সূত্রঃ ডন 

এসকে/  

পাকিস্তান খ্রিস্টানদের উপর হামলা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন