মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক *** সংসদে সংরক্ষিত আসন চায় দলিত সম্প্রদায় *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির শোক *** সাগরিকার হ্যাটট্রিকে নেপালকে উড়িয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ *** উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক *** হাসপাতাল এলাকায় অহেতুক ভিড় না করার অনুরোধ প্রধান উপদেষ্টার *** নিরীহদের হয়রানি না করতে অনুরোধ গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির *** পাইলট বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নেওয়ার চেষ্টা করেন: আইএসপিআর *** বিসিবির সিদ্ধান্ত বদল, স্টেডিয়ামে খাবার নিয়ে ঢুকতে মানা *** বিমান দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য বাঁচলেন অভিনেত্রী সানা

পচা ডিম মনে করা সেই মুরগিই এখন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে

ডেস্ক নিউজ

🕒 প্রকাশ: ১২:৩০ অপরাহ্ন, ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

পচা ডিম মনে করে ফেলে দেওয়া হচ্ছিল । আর ঠিক তখনই ছানার ডাক কানে আসে। এতে ফিরে তাকান ওই খামারের মালিক। এবার সেই মুরগিই বিশ্বের সর্বোচ্চ বয়সী হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ডে রেকর্ড গড়েছে।

২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি সবচেয়ে বেশি বয়সি মুরগি হিসেবে যখন গিনেস বুকে নাম ওঠে, তখন পিনাটের বয়স ছিল ২০ বছর ২৭২ দিন। তার এবারের রেকর্ডটি এ মুহূর্তে বেঁচে থাকা সবচেয়ে বেশি বয়সি মুরগির। 

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের একটি খামারে বড় হওয়া মুরগি পিনাট। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের হিসাবেও সে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বয়সি মুরগি।

মার্সি পার্কার ডারউইন স্বামী বিলের সঙ্গে মিশিগানের যে খামারটিতে থাকেন সেখানে তাদের সঙ্গী মুরগি ছাড়াও আছে কুকুর, বিড়াল, ময়ূর, হাঁস প্রভৃতি। এটি একটি ‘নো কিল ফার্ম’, অর্থাৎ এখানে কোনো প্রাণী হত্যা করা হয় না।

কিন্তু পিনাটের বেঁচে থাকাটাই মস্তবড় এক বিস্ময়। ২১ বছর আগে মার্সি পার্কার একটি মুরগির কয়েকটি ডিম পচা মনে হওয়ায় অ্যালিগেটরের একটি পুকুরে ফেলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় এগুলোর মধ্য থেকে ক্ষীণ একটি চিৎকার শুনতে পান।

‘আমি দ্বিতীয়বার কিচিরমিচির শুনতে পেলাম। সেই সঙ্গে বুঝতে পারলাম যে ছানাটি বেঁচে আছে এবং তার খোসা থেকে বেরিয়ে আসার মতো ডিম দাঁত (অস্থায়ী একধরনের দাঁত) আছে বলে মনে হচ্ছে না’। স্মৃতিচারণা করেন খামারের মালিক মার্সি পার্কার ডারউইন- ‘আমি আস্তে আস্তে তাকে খোসা ছাড়িয়ে বের করে আনলাম। তারপর দেখা গেল ছোট্ট ভেজা সেই বস্তু আমার হাতে বসে আছে।’


বাচ্চাটিকে মা মুরগির কাছে নিয়ে গেলেন ডারউইন কিন্তু সে এটাকে গ্রহণ করল না। অতএব বাচ্চাটাকে একটি বাতির সাহায্যে তাপ দিলেন। একই সঙ্গে কিভাবে নিজে নিজে খেতে ও পান করতে হয় শেখালেন। 

ছানাটি শুরুতে অন্য মুরগির বাচ্চাদের তুলনায় ছোট ছিল। কখনো এক পাউন্ডের বেশি হয়নি ওই সময় তার ওজন, যা খামারের অন্যান্য মুরগির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। তাই মার্সি তার নাম রেখেছেন পিনাট বা চিনাবাদাম। 

মিশিগানের এই নারী কখনই কল্পনা করেননি যে শরীরে বাদামি ফুটকির মুরগিটি মার্সি ও তার স্বামীর সঙ্গে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে থাকবে। 

তারা গত মে মাসে পিনাটের জন্মদিন উদ্যাপন করেন। আগের মতোই সুস্থ এবং চঞ্চল আছে মুরগিটি। একটা সময় পর্যন্ত নিয়মিত ডিম দিয়েছে এবং বাচ্চা-কাচ্চার মাও হয়েছে সে। 

মার্সি জানান, মুরগি পছন্দ করেন এমন এক বন্ধু টড গিলিহান গিনেস রেকর্ডের জন্য আবেদন করতে উৎসাহ দেন তাকে। ওই বন্ধু মাতিলদা নামের একটি মুরগি সম্পর্কে জানতেন, যেটি ১৪ বছর বয়সে রেকর্ডটির মালিক হয় ২০০৪ সালে, দুই বছর পর এটি মারা যায়; কিন্তু পিনাট ওই রেকর্ড অতিক্রম করে আরও বেশ কয়েক বছর পেরিয়ে গেছে। 

অতএব মার্সি আবেদন করতে রাজি হলেন। যাই হোক, একটি মুরগির বয়স প্রমাণ করা খুব সহজ ব্যাপার ছিল না। যেখানে একটি মুরগি সাধারণত পাঁচ থেকে আট বছর বাঁচে।

‘আমার কাছে বন্ধু ও ভাতিজা-ভাতিজিদের সঙ্গে কিছু ছবি (পিনাটের) ছিল। অনেক বছর আগে ওটার সঙ্গে ছবিগুলো তুলেছিল তারা। এই ছবিগুলো ছিল আমাদের বড় প্রমাণ’- ডারউইন বলেন। 

সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট, অডিটি সেন্ট্রাল

ওআ/


গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ডিম মুরগি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন