বৃহস্পতিবার, ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৬শে ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ৬১ বছর পর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে ছাড়লেন চোই *** নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে পাকিস্তান হাইকমিশনারের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক *** তলেতলে আ.লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছাত্রলীগের সব ভোট নিয়েছে শিবির: মির্জা আব্বাস *** নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় আসা কে এই সুশীলা কার্কি *** জাকসু নির্বাচন আজ, এখনো মেলেনি ডোপ টেস্টের ফলাফল *** শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেবেন মাহমুদুর রহমান-নাহিদ ইসলাম *** নেপালের কারাগার থেকে কমিউনিস্ট নেতা টপ বাহাদুরও পালিয়েছেন *** গাজায় ত্রাণ কার্যক্রমে নিরাপত্তার দায়িত্বে ইসলামবিরোধী আমেরিকান বাইকার গ্যাং *** নেপাল থেকে জামালদের ফেরাতে বিশেষ ফ্লাইট, অপেক্ষা অনুমতির *** ঘুষকাণ্ডে বিআইডব্লিউটিএর দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত

বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, ১০ই আগস্ট ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানে বৃষ্টিপাত কমায় চার দিন পর বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও সারা দেশের সঙ্গে বান্দরবান জেলার সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন। এছাড়া চার দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন জেলায় দেখা দিয়েছে খাবার পানির সংকটও।

জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় বান্দরবান জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আংশিক উন্নতি হয়েছে। অধিকাংশ প্লাবিত এলাকা ও সড়ক থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। তবে বান্দরবান-কেরানীহাট-চট্টগ্রাম মহাসড়কের হলুদিয়া, বায়তুলইজ্জত এলাকায় সড়কে পানি উঠায় সারা দেশের সঙ্গে বান্দরবান জেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে তিন দিন ধরে।

এছাড়া পাহাড় ধসে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও বন্ধ রয়েছে। জেলা সদরের মেম্বার পাড়া, আর্মিপাড়া, শেরেবাংলা নগর, ইসলামপুর, ওয়াপদা ব্রিজ এলাকা এবং লামা, আলীকদম উপজেলায় এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে হাজার হাজার পরিবার। জেলায় দুই শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে ২০ হাজারের বেশি মানুষ। বুধবার (৯ আগস্ট) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি থেকে খংচা মারমা নামের আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন  গণমাধ্যমকে বলেন, বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বান্দরবান জেলার সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে। জেলায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লামা ও সদর উপজেলা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী, প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, পৌরসভা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একসঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের দায়িত্বশীল কনভেনার মোজাম্মেল হক বাহাদুর গণমাধ্যমকে বলেন, পৌরসভার পানি সরবরাহ ব্যবস্থা পুরোপুরি প্লাবিত হওয়ায় মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। সবগুলো মেশিন অকেজো হয়ে পড়েছে। তবে মেরামতের মাধ্যমে দ্রুত পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে।

আর.এইচ/ আই.কে.জে/


বান্দরবান

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন