ছবি: সংগৃহীত
যারা পড়াশুনা শেষ করে চাকরির বাজারে ঢুকতে যান তারাই ফ্রেশার। চাকরির ক্ষেত্রে তারা নবাগত। নেই অভিজ্ঞতাও। ফলে এদের শুরুতে চাকরি পাওয়া কঠিন।
ফ্রেশারদের অতীতে চাকরি করার কোনও অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে হয়। এমন বেশ কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে ফ্রেশার তরুণ-তরুণীদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এক নজরে সেই ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে জানুন।
ইনফরমেশন টেকনোলজি
এক সমীক্ষায় পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে আইটি ইন্ডাস্ট্রিজে ৬৫ শতাংশ ফ্রেশারদের নিয়োগ করা হয়েছে, যা অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে বেশি। সমীক্ষার দাবি, চলতি বছরে আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে কয়েক লাখ ফ্রেশার নিয়োগ করা হবে। কারণ সফটওয়্যার সংক্রান্ত প্রোডাক্টের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে।
এডুকেশন সেক্টর
করোনার সময় গোটা শিক্ষাক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যমে পড়াশুনাকে গ্রহণ করে নিয়েছে। চলতি বছরে এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাজের পরিধি বাড়াচ্ছে, যার অর্থ কাজ চালাতে নিয়োগদাতারা অনেকে বেশি কর্মী নিয়োগ করবে।
টেলিকম
টেলিকম শিল্পেও বৃদ্ধির হার ভালো। বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, টেলিকম কোম্পানিগুলো চলতি বছরে ৩ হাজার কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ করবে এবং তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে। সে কারণে সংস্থাগুলোর কাজের ব্যাপ্তি অনেকটাই বাড়বে এবং বাড়তি কাজ সামাল দিতে নিয়োগ ছাড়া উপায় নেই। তাই সেখানে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো পড়ুন: এনসিসি ব্যাংকে চাকরির সুযোগ
ই-কমার্স ও লজিস্টিক
অক্টোবর সামনে এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে উৎসবের মৌসুমের কারণে ব্যাপকভাবে চাহিদা বাড়বে। সেই কারণে ই-কমার্স ও লজিস্টিক সংস্থাগুলোকে বাড়তি কর্মী নিতেই হবে। তাই এখানেও ফ্রেশারদের চাকরির সুযোগ রয়েছে।
ফিনটেক
বিভিন্ন আর্থিক পরিষেবা ক্রমশই ডিজিটাল পদ্ধতি ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে আপন করে নিচ্ছে। আপনি যদি প্রযুক্তির বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করতে সক্ষম হন, তবে এই ক্ষেত্রেও রয়েছে চাকরি পাওয়ার সুযোগ। ডাটা সায়েন্স, সাইবার সিকিউরিটি, ব্লক চেইনের মতো ক্ষেত্রে আপনি যদি পারদর্শী হন, ফ্রেশার হলেও চাকরি নিয়ে ভাবতে হবে না।
এসি/আইকেজে