ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ । বৃষ্টি বাধায় ৪৫ ওভারে নেমে আসে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ। টস হের ব্যাট করতে নেনে হ্যারি টেক্টরের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেয় আইরিশরা। ৪৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৯ রান করে আয়ারল্যান্ড।
'এই বৃষ্টি, এই রোদ...'। আবহাওয়ার মতোই রঙ বদলেছে চেমসফোর্ডে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ওয়ানডে। বিপর্যয় ঠেলে আয়ারল্যান্ড বড় রান করে। জবাবে কখনও বাংলাদেশ বিপদে পড়েছে, কখনও ম্যাচ সহজ করে ফেলেছে। শেষ পর্যন্ত মুশফিকুর রহিম তিন বল থাকতে দলকে ৩ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন। গড়েছেন দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফল রান তাড়া করার রেকর্ড।
ওয়ানডে ফরম্যাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ ৩২১ রান তাড়া করে জিতেছে। যা টাইগারদের সর্বোচ্চ সফল রান তাড়ার রেকর্ড। ২০১৯ বিশ্বকাপে এসেছিল ওই রেকর্ড জয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১৮ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড হয়েছিল ২০১৫ বিশ্বকাপে। স্কটল্যান্ডকে হারিয়েছিল হাথুরুর দল। এবার ভাঙল ওই রেকর্ড।
চেমসফোর্ডে বৃষ্টির কারণে প্রথম ওয়ানডে ভেসে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও বৃষ্টি বিঘ্ন ঘটিয়েছে। টস হয়েছে নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টা দেড়ক পরে। টস জিতে বোলিং নিতে ভুল করেনি বাংলাদেশ। কিন্তু তিন স্পিনার নিয়ে খেলার সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই যায়। ব্যাট করতে নেমে পেসার হাসান মাহমুদের তোপে ১৬ রানে দুই উইকেট হারায় আইরিশরা। সেখান থেকে হ্যারি টেক্টরের সেঞ্চুরি ও জর্জ ডকরেলের ফিফটিতে ৪৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৬ উইকেটে ৩১৯ রান করে আইরিশরা।
তিনে নামা অধিনায়ক আন্দ্রে বালর্বিনি ও চারে নামা হ্যারি টেক্টর শুরুর বিপর্যয় সামাল দেন। তারা ৯৮ রান যোগ করেন। বালর্বিনি ফিরে যান ৪২ রান করে। তবে টেক্টর ছিলেন অবিচল। তিনি খেলেন ১১২ বলে ১৪০ রানে বিধ্বংসী ইনিংস। তার ব্যাট থেকে দশটি ছক্কা ও সাতটি চারের শট আসে। শেষে তার সঙ্গে ১২৯ রানের জুটি গড়েন জর্জ ডকরেল। তিনি ৪৭ বলে ৭৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে তিনটি চার ও চারটি ওভার বাউন্ডারি আসে।
জবাব দিতে নামা বাংলাদেশ ৯ রানে প্রথম এবং ৪০ রানে হারায় দ্বিতীয় উইকেট। প্রথমে ওপেনার তামিম ইকবাল (৭) ফিরে যান। পরে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস (২১)। এরপর নাজমুল শান্ত ও সাকিব আল হাসান ৬১ রান যোগ করেন। সাকিব ফিরে যান ২৭ বলে পাঁচ চারের শটে ২৬ রান করে। ওই চাপ শান্ত ও পাঁচে নামা তাওহীদ হৃদয় দুর্দান্ত ব্যাটিং করে সামাল দেন। তারা ১৩১ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ সহজ করে ফেলেন।
আরো পড়ুন:মেসির ‘নাম্বার টেন’ বুসকেটস, মদরিচের কাছে অন্যতম সেরা
এরপর হৃদয় ৫৮ বলে পাঁচ চার ও তিন ছক্কায় ৬৮ রান করে আউট হন। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করা নাজমুল শান্ত ১১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ৯৩ বলে ১২টি চার ও তিন ছক্কায় ওই ইনিংস গড়েন। পরেই ঝড়ো ব্যাট করা মেহেদি মিরাজ আউট হন। তিনি ১২ বলে তিন চারে ১৯ রান করেন।
বাংলাদেশের রান তখন ৩৯.৪ ওভারে ২৮৬। শেষ ৫.২ ওভারে দরকার আরও ৩৪ রান। প্রথমে টেলেন্ডার তাইজুল ইসলাম ও পরে শরিফুল ইসলামকে নিয়ে অভিজ্ঞ মুশফিক ওই পথ পাড়ি দিয়েছেন। ছয়ে নামা ডানহাতি এই ব্যাটার খেলেছেন ২৮ বলে ম্যাচ জেতানো ৩৬ রানের ইনিংস। চারটি চার মারেন তিনি। শেষ ওভারে গ্রাহাম হিউম নো বল দেওয়ায় জয়টা একটু সহজ হয়েছে।
এম/