ছবি: সংগৃহীত
পাচারের উদ্দেশে পেটের ভেতরে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে ঢাকায় বিমানবন্দরে নেমেছেন চার রোহিঙ্গা। একই পরিবারের চারজনকে আটক করেছে এপিবিএন। চারজনের সঙ্গে দুটি শিশুও রয়েছে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদক চোরাচালান আইনে একটি মামলা হয়।
ঢাকায় আসা পরিবারের সদস্যরা হলেন- আহমদ (২৮), তার স্ত্রী আছিয়া বেগম (২৫), আছিয়ার ভাইয়ের ছেলে মো. রুবেল (১৫) এবং রুবেলের চাচী জোহুরা বেগম (৩০)। এদের সঙ্গে জোহুরার ১০ মাস বয়সি মেয়ে উম্মে ছালমা ও আছিয়ার ৭ মাস বয়সি ছেলে উমায়ের হোসেনও রয়েছে।
তাদের মধ্যে রুবেল, আছিয়া, জোহুরা ও আহমদের পাকস্থলি থেকে চিকিৎসকের সহায়তায় ১৩০টি পলিথিনের প্যাকেটে থাকা ছয় হাজার ২৭৫ পিস ইয়াবা বের করা হয়।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘পাচারের উদ্দেশ্যে অভিনব কৌশলে পাকস্থলিতে করে ইয়াবা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় নভো এয়ারের কক্সবাজার ছেড়ে আসা ফ্লাইটে ঢাকায় অবতরণ করে রোহিঙ্গা পরিবারটি। অবতরণের পর এয়ারপোর্ট এপিবিএন গোয়েন্দা দলের সন্দেহ হলে নজরদারিতে পড়েন তারা।
এ সময় তাদের আটক করে এয়ারপোর্ট এপিবিএন অফিসে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ইয়াবা বহনের কথা অস্বীকার করেন এবং নিজেদের বাঙালি পরিবার হিসেবেও দাবি করেন। কিন্তু পরে পরিবারের চার সদস্যকে উত্তরার একটি প্যাথলজি সেন্টারে পরীক্ষা করার জন্য নেওয়া হয়। সেখানে চারজনের পেট থেকে ইয়াবা বের করা হয়।’
মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরও বলেন, ‘তাদের ইয়াবা বহনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতেই তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চারজনের পাকস্থলিতে থেকে এসব ইয়াবা বের করা হয়।’
অভিযুক্ত সবাই মিয়ানমার থেকে এসে কক্সবাজারের টেকনাফের লেদায় অবস্থিত শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা।