ছবি: সংগৃহীত
পাক-আফগান সীমান্তের কাছে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে বন্দুকযুদ্ধের সময় ছয়জন সেনা সদস্য শহীদ এবং তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, উক্ত এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করে।
গত বৃহস্পতিবার, ডেরা ইসমাইল খানে গোপন অভিযানের সময় নিরাপত্তা বাহিনি এক জঙ্গিকে হত্যা করে। সেসময় এসডিপিও আবিদ ইকবাল নামের একজন পুলিশ কর্মকর্তাও আহত হন। জঙ্গিদের আস্তানা তহসিল গুলাম খানে প্রবেশের সময় নিরাপত্তা বাহিনির সাথে জঙ্গিদের গুলি বিনিময় হয়।
সেখানে তিন জঙ্গিকে হত্যা এবং দুইজনকে আহত করার কথা জানায় নিরাপত্তা বাহিনি।
আইএসপিআর জানায়, নিহত সেনাদের মধ্যে রয়েছেন সেলিম খান, নায়েক জাভেদ ইকবাল, সিপাহি নাজির খান, সিপাহি হযরত বিলাল, সিপাহি সৈয়দ রজব হোসেন এবং সিপাহি বিসমিল্লাহ জান। দেশ থেকে সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনির অভিযান চলমান রয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকারসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সেনাদের মৃতুতে শোক প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেন, দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে সেনাদের এই আত্মত্যাগ তাদের দৃঢ় সংকল্পেরই প্রতীক।
তিনি বিশ্বাস করেন, লড়াই যতো কঠিন হোক না কেন সেনাসদস্যরা দেশের সুরক্ষায় সন্ত্রাসবাদকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে সক্ষম হবে।
আরো পড়ুন: ব্রিটেনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৭ কাউন্সিলর প্রার্থীর জয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেন, সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে সেনাসদস্যদের এই আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।
পিপিপি প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ফেডারেল সরকারকে সন্ত্রাসবাদী, তাদের পৃষ্ঠপোষক এবং সহায়তাকারীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
নিরাপত্তা বাহিনি ও জঙ্গিদের গুলি বিনিময়ের সময় মুহাম্মদ ইকবাল ওরফে বালি খিয়ারা তার সহযোগীসহ নিহত হয়। মুহাম্মদ ইকবাল ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দলের উপর হামলার ঘটনাসহ সন্ত্রাসী নানা ঘটনার জেরে বেশ কয়েক বছর ধরেই গা ঢাকা দিয়েছিল।
কেপি এবং পাঞ্জাবে তার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত ২১ টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
মুহাম্মদ ইকবাল প্রথমে লস্কর-ই-জাংভির সাথে যুক্ত ছিল। পরবর্তীতে সে নিষিদ্ধ জঙ্গীগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর সাথে যুক্ত হয়।
খবরটি শেয়ার করুন