ফাইল ছবি
অবশেষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার রায় ঘোষণা হতে চলেছে।
রোববার (৮ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানি হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায়, স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ ব্যাপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা। এর মধ্যে পি কে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাননি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় ও অর্থপাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার ধারায় অনূর্ধ্ব ১০ (দশ) বৎসর এবং অন্যূন ০৩ (তিন) বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদে কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এ ছাড়া অর্থ দণ্ড এবং সম্পত্তিসমূহ বাজেয়াপ্ত হবে। আর মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অনধিক ১২ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। অর্থাৎ অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বোচ্চ ২২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী মীর আহাম্মদ আলী সালাম বলেন, আমরা সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের অপরাধ প্রমাণ করতে পেরেছি । আশা করি বিজ্ঞ আদালত তাদের সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেবেন।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। এরপর ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এ মামলায় ১০৬ সাক্ষীর মধ্যে ৯৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।