ছবি: সংগৃহীত
দেশভাগের পর ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে যুক্ত লাখো শহীদের স্মৃতি রক্ষার্থে ‘শহীদ স্মৃতিসৌধ’ নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ৫০ বছর পর ইউটি প্রশাসন অবশেষে স্মৃতিসৌধ নির্মাণকাজ সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছেন।
শহীদ স্মৃতিসৌধের স্থপতি সুইস-ফরাসি লে করবুসিয়ার। স্বাধীনতার জন্য জাতির সংগ্রামী চেতনাকে ধারণ করে এ স্মৃতিসৌধ।
১৯৭৩ সালে ভাস্কর সাঙ্কো চৌধুরী প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। প্রথমদিকে নির্মাণ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলেও স্মৃতিসৌধের দ্বিতীয় পর্যায়টি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এক দশকের দীর্ঘ বিরতির পর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়।
ইউটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এ প্রকল্পের দায়ভার নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাজেও গতি ফিরে আসে৷ স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজ সম্ভবত আগামী মার্চ মাসে শেষ হতে পারে।
স্মৃতিসৌধটির নকশা জাতির ইতিহাস ও সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক। একটি বর্গাকার ঘেরের মধ্যভাগে স্মৃতিসৌধটি অবস্থিত৷ ঘেরটি ভারতের স্বাধীনতার সমগ্র যাত্রাপথকে উপস্থাপন করে৷ এর হৃদয়ে স্মৃতিসৌধের অবস্থান, শহীদদের আবেগ ও আত্মত্যাগকে ধারণ করে। বিচ্ছিন্ন স্তম্ভ দুইটি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন এবং একটি জাতির পুনর্জন্মের প্রতীক।
ক্যাপিটাল কমপ্লেক্স ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের স্বীকৃতি পেলে স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।
স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ সম্পন্নের জন্য এই যে এতো প্রতীক্ষা, তা থেকে বলা যায়, স্মৃতিসৌধটি একটি জাতির অধ্যবসায় এবং শহীদদের প্রতি তাদের সম্মানের স্বীকৃতি হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকবে। শহীদ স্মৃতিসৌধ ভারতের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে স্মরণ করে আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।
আর.এইচ/ আই. কে. জে/
খবরটি শেয়ার করুন