ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি গ্রন্থাগার থেকে ১৯৬৯ সালে বই ধার নিয়েছিলেন এক নারী। কথা ছিল নির্দিষ্ট সময়ের পর ফেরত দেওয়ার। মাস গড়িয়ে বছর হলেও বইটি আর ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। তবে, ৫৪ বছর পর গ্রন্থাগারে ফেরত দিতে হাজির হয়েছেন ওই নারী।
ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সেউইকলি পাবলিক লাইব্রেরির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্যারোল ম্যাকিন্টায়ার নামের এক নারী চলতি ডিসেম্বর মাসে ফেরত দিয়েছেন সেটি। বইটি আমেরিকার সাহিত্যিক চাউন্সি ব্রিউস্টার টিংকারের লেখা। নাম হলো বিওউল্ফ।
আরো পড়ুন: যত দৌড়াবেন, তত বোনাস পাবেন!
এক সময় এই লাইব্রেরিতে বই ফেরতে বিলম্ব হলে জরিমানার নিয়ম ছিল। সে নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিদিনের জন্য পাঁচ সেন্ট করে জরিমানা দিতে হতো। হিসাবে ক্যারোলকে গুনতে হতো প্রায় ১ হাজার ডলার। তবে তাঁর ভাগ্য ভালো। বই জমা দিতে বিলম্ব হলেও এখন কোনো জরিমানা নেয় না লাইব্রেরি।
বিওউল্ফ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯০২ সালে। ১৯২০ সালে বইটি কেনা হয়েছিল ০.৮ ডলারে। লাইব্রেরিটি জানিয়েছে, এত দিন পরও যদি ক্যারোল বইটি ফেরত না দিতেন, তাহলে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ তাঁর কাছে শত বছর আগের ওই ক্রয়মূল্যই জরিমানা হিসেবে দাবি করতে পারত।
ক্যারোল বইটি যখন ধার নিয়েছিলেন, তখন তিনি উচ্চমাধ্যমিকে পড়েন। বিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্যই সেটি নিয়েছিলেন। তবে ফেরত দেওয়ার সময় খুঁজে পাচ্ছিলেন না। সম্প্রতি বইটি খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে ক্যারোল বলেন, ‘আমার কয়েকটি বই নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছিলাম। হঠাৎ বিওউল্ফ বইটি পেলাম।
চলতি বছরে সেউইকলি পাবলিক লাইব্রেরির ১৫০ পূর্তি উদ্যাপিত হচ্ছে। গ্রন্থাগারের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লেখা হয়েছে, লাইব্রেরির ১৫০ বছরের ইতিহাস উদ্যাপন চলছে। এমন এক সময়ে এত আগে ধার নেওয়া কোনো বই ফেরত পাওয়াটা চমৎকার একটি বিষয়। দীর্ঘ সময় ধরে চলা গ্রন্থাগারটির গল্পে একটি ঘটনা হিসেবে এটি যুক্ত হবে।
এইচআ/ আই. কে. জে/