শুক্রবার, ৫ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কলকাতায় পাঁচ জেএমবি সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড *** নির্বাচনে সহায়তা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্রিফ করল জাতিসংঘ *** কাফু–ক্যানিজিয়ার সঙ্গে ঢাকায় নৈশভোজের সুযোগ *** নতুন গণমাধ্যম নীতি নিয়ে আপত্তি, পেন্টাগনের বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক টাইমসের মামলা *** প্রধান উপদেষ্টাকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর ফোন, বন্যায় সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা *** খালেদা জিয়াকে নিয়ে নির্মিত সরকারি ডকুমেন্টারি প্রকাশ *** একটি মানবশিশুকে যেভাবে পাহারা দিলো চারটি কুকুর *** অনিবার্য কারণ ছাড়া বিএনপি নির্বাচনি মাঠে থাকবে: নজরুল ইসলাম খান *** নিবন্ধন পাচ্ছে ‘আমজনতার দল’, প্রতীকের বিষয়ে যা জানা গেল *** এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হতে পারে, জুবাইদা রহমান ঢাকায় আসছেন

বাবাকে খুঁজে পেতে পথে পথে ঘুরছেন নড়াইলের রূপা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, ৬ই জুলাই ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

‘বাবার চেহারা আবছা আবছা মনে আছে, পরিষ্কার মনে নেই। বাবার কথা যখন কেউ জিজ্ঞেস করে, তখন কলিজাটা ফেটে যায়। সব সময় বাবার কথা মনে পড়ে। বিভিন্ন সমস্যার কারণে খুঁজতে বের হতে পারিনি। ইদানিং বাবার কথা খুব বেশি মনে পড়ছিল। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে বাবার প্রসঙ্গ উঠলে কটূ কথা শুনতে হয়েছে। আমি তো জারজ সন্তান নই। আমার তো বাবা আছে। বাবা তো কত বছর আমাদের সঙ্গে ছিলেন। আমার নানার বাড়ি এলাকায় থেকে ব্যবসা করেছেন। কত মানুষ চেনে তাকে। বাবাকে খুঁজতে প্রথম চাটমোহরে এসেছি।’  

কথাগুলো বলতে বলতে বার বার কাঁদছিলেন নড়াইল থেকে পাবনার চাটমোহরে বাবাকে খুঁজতে আসা রূপা খাতুন (২৫)। 

এ তরুণী চাটমোহরের বিভিন্ন এলাকায় তার বাবাকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। গত মঙ্গলবার (২রা জুলাই) বিকেলে চাটমোহর উপজেলা গেট এলাকায় দেখা যায় তাকে। রুপা নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ছোট কালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম নুর ইসলাম মোল্লা।

রুপা খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘৩০-৩৫ বছর আগে আমার বাবা চাটমোহরের নুর ইসলাম মোল্লা নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার শুক্তগ্রামে যান। শুক্তগ্রামের গফফার আলীর সঙ্গে ভাইয়ের সম্পর্ক স্থাপন করে তার আশ্রয়ে বসবাস শুরু করেন। দুই-তিন বছর গফফার আলীর বাড়িতে বসবাস করেন। তখন ছোট কালিয়া গ্রামের আলতাব মোল্লার মেয়ে রহিমা বেগমকে (রুপার মা) বিয়ে করেন। বিয়ের পর আলতাব মোল্লার বাড়িতে স্ত্রীসহ বসবাস করতে থাকেন। এলাকায় কাঁচা মালের (সবজি) দোকান দেন বাবা। বড় কালিয়া এলাকায় ছয় শতাংশ জায়গাও কেনেন। তাদের সংসারে আমার এবং আমার বোন নুরজাহানের জন্ম হয়। ভালোই কাটছিল আমাদের সংসার।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘শুক্তগ্রাম, ছোট কালিয়া ও বড় কালিয়া এলাকায় ১৪-১৫ বছর বসবাসের পর আমার যখন চার বছর, একদিন বাবা বাঁধাকপি বিক্রি করতে খুলনায় যান। এটি প্রায় ২০ বছর আগের কথা। এরপর বাবা আর বাড়িতে ফেরেননি। আমার মা, মামারা সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করেও বাবার সন্ধান পাননি।’

অভিমানে রহিমা বেগম কখনও স্বামীকে চাটমোহরে খুঁজতে আসেননি। তারা শুধু এটুকু শুনেছেন নুর ইসলাম মোল্লার বাড়ি চাটমোহরের দিয়ার বা দিয়ারা বা এমন নামের কোনো গ্রামে। রহিমা বেগম তার মেয়ে রুপা ও নুরজাহানকে নিয়ে ভাইয়ের আশ্রয়ে রয়েছেন। দুই মেয়েকে বিয়েও দিয়েছেন।

রুপা জানান, বাবার বয়স এখন ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হবে। ৫ ফিট ৬ ইঞ্চির মতো লম্বা হবে। মুখে ছোট ছোট হালকা চাপ দাড়ি ছিল। বাবার কোনো ছবিও নেই। রূপার মা, মামারা চাটমোহরে বাবার বাড়ি বলেছেন, এটাও সত্য, না মিথ্যা তাও জানা নেই। বাবা বেঁচে আছেন, না মরে গেছেন তাও জানেন না। যতদুর শুনেছেন তার দাদার নাম আব্দুল মোল্লা। ইদানীং বাবাকে খুব মনে পড়ছে রূপার। 

ওআ/

নিখোঁজ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250