ছবি : সংগৃহীত
মৃত স্বামীর মমির সঙ্গে একদিন নয় দুদিন নয়, প্রায় চার বছর ঘুমিয়েছেন এক নারী। শুধু তাই নয় প্রাচীন মিসরীয় ধর্ম দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ওই মমিকে নিয়ে বিভিন্ন আচারও পালন করেছেন তিনি। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে রাশিয়াতে।
মার্কিন একটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, ৫০ বছর বয়সী এসভেতলানা তার স্বামীর মরদেহ নিয়ে থাকতেন। তিনি তার সন্তানদেরও সতর্ক করে দিয়েছিলেন, যেন এ ঘটনা বাইরের কেউ না জানে। আর বললে, তাদের অনাথ আশ্রমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
২০২০ সালে স্ত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির সময় পড়ে মারা যান ৪৯ বছর বয়সী ভ্লাদিমির। এর আগেই তার স্ত্রী ঝগড়ার সময় স্বামীর মৃত্যু কামনা করেছিলেন। ভ্লাদিমির মারা যাওয়ার পরে তার স্ত্রী ভাবেন যে, তার স্বামী ভান করছেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর ভ্লাদিমিরের বড় মেয়ে বিষয়টি বুঝতে পারে এবং তার বাবার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে।
আরো পড়ুন : মানুষের রাগী ও কোমল কণ্ঠ বুঝতে পারে ছাগল!
ভ্লাদিমিরের দুই মেয়ে ও দুই জমজ শিশু ছিল। সম্প্রতি এক সমাজকর্মী ভ্লাদিমিরের বাড়িতে তার শিশুদের খোঁজ নিতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি ওই মমিটি আবিষ্কার করেন। ২০২১ সাল থেকে ওই বাড়িতে বিভিন্ন সময় গেলেও এবারই মমিটি দেখতে পান ওই সমাজকর্মী। পরে তিনি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মমিকৃত স্বামীর পায়ের কাছে একটি মিসরীয় ক্রস, ট্যারোট কার্ড, তাবিজ এবং পশুর খুলির ছবি খুঁজে পান।
এদিকে এই মরদেহ উদ্ধারের আগে ভ্লাদিমিরের কথা তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলতেন যে, ব্যতিক্রমী চিকিৎসা শিখতে তার স্বামী তিব্বতে গেছে। ভ্লাদিমিরের পায়ে সমস্যা ছিল বলে জানা গেছে। কারণ তিনি ঠান্ডা আবহাওয়াতেও জুতা পরতে চাইতেন না।
ভ্লাদিমির মরদেহ উদ্ধারের পর ধারণা করা হচ্ছে যে, তার স্ত্রীর মানসিক রোগ রয়েছে। বর্তমানে ওই নারী ও তার চার সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
রুশ তদন্ত কমিটি বলছে, মামলার যে কোনো অভিযোগ ফরেনসিক মেডিকেল পরীক্ষার ফলাফল এবং প্রয়োজনীয় যাচাইকরণ কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে করা হবে।
সূত্র : নিউ ইয়র্ক
এস/ আই. কে. জে/