সোমবার, ৬ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বিশ্বজুড়ে শাসকগোষ্ঠীর প্রতি জেন-জিদের ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে *** ১০ বছর পালিয়ে থাকার পর লেবাননের গায়ক ফাদেল শাকেরের আত্মসমর্পণ *** কোরআন অবমাননার অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী কারাগারে *** বছরে ২ কোটি টাকার নৌকা বিক্রি হয় যে গ্রামে *** প্রবারণা পূর্ণিমা আজ *** গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় আলোচকদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বললেন ট্রাম্প *** গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে ইসির সংলাপ আজ, কাল নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নারী নেত্রীদের সঙ্গে *** জ্বর হওয়ার সাথে সাথে ডেঙ্গু পরীক্ষার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের *** অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে রংপুর বিভাগে ৩০ লাখ টিকা সরবরাহ করবে এলআরআই *** ধনসম্পদের দেবী লক্ষ্মীর পূজা আজ

ফুটবলাররা পানি না গিলে কুলি করেন কেন

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:০৩ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

ফুটবল ম্যাচে দর্শকেরা প্রায়ই দেখতে পান, খেলোয়াড়েরা পানীয়ের বোতল থেকে এক চুমুক নিয়ে তা কিছুক্ষণ পরই মুখ থেকে ফেলে দিচ্ছেন। ব্যাপারটি দেখে অবাক লাগলেও এর পেছনে রয়েছে পুরোদস্তুর কৌশল এবং বৈজ্ঞানিক কারণ।

খেলোয়াড়দের এই অভ্যাস শুধু আরাম বা স্বস্তির জন্য নয়; বরং তাদের পারফরম্যান্স বৃদ্ধির কৌশল হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। খেলোয়াড়দের এই অভ্যাসকে কার্ব রিন্সিং বলে। এটি বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে ২০১৮ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে, যেখানে ইংল্যান্ডের হ্যারি কেন ও পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো তারকাদের এ কৌশল ব্যবহার করতে দেখা যায়। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

এই কৌশলের উপকারিতা বিশেষভাবে দেখা যায় ফুটবলের মতো কঠোর শারীরিক কসরতের খেলায়, যেখানে একটি ম্যাচ প্রায় ৯০ মিনিট ধরে চলে। এমন দীর্ঘ সময় ধরে চলা পরিশ্রমের মধ্যে সামান্য কোনো সুবিধাও পারফরম্যান্সে বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, কার্ব রিন্সিং ২ থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত পারফরম্যান্স বাড়াতে সহায়তা করতে পারে। এটি দীর্ঘ শারীরিক পরিশ্রমের সময় কার্বোহাইড্রেট সেবনের মতোই কার্যকর।

১. পাকস্থলীর অস্বস্তি এড়ানো

খেলার মাঝপথে বা প্রচণ্ড শারীরিক পরিশ্রমের সময় অতিরিক্ত পানি বা ইলেকট্রোলাইট দ্রবণ পান করলে অনেক সময় পেট ভারী মনে হতে পারে। এটি খেলোয়াড়দের জন্য অস্বস্তিকর ও মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই অনেকে শুধু কুলি করেন, যাতে তৃষ্ণা প্রশমিত হয়, আবার পেটও ভারী না হয়।

এ ছাড়া পানীয় না গিলে তা ফেলে দেওয়ার ফলে পাকস্থলীর অস্বস্তিও এড়ানো যায়। খুব ঘন ঘন পানীয় পেটে গেলে তা হজমে সময় লাগে। আবার হজমের সময় সেই পানীয়র ঘনত্ব কমাতে অতিরিক্ত পানির প্রয়োজন হয়, এতে পেট ফাঁপা বা অস্বস্তি বোধ হতে পারে।

২. পারফরম্যান্স বৃদ্ধির মনস্তাত্ত্বিক কৌশল

খেলোয়াড়দের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট রিন্সিং কৌশলটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ পদ্ধতিতে, খেলোয়াড়েরা কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ দ্রবণ মুখে নিয়ে কুলি করেন, গিলে ফেলেন না। গবেষণা বলছে, এই কার্বোহাইড্রেট দ্রবণ মুখে নিলে মস্তিষ্কে একটি ফলস সিগন্যাল যায়, মনে হয় শরীরে ক্যালরি প্রবেশ করছে।

এতে মস্তিষ্ক সাময়িকভাবে ক্লান্তির অনুভূতি কমিয়ে দেয় এবং পারফরম্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে এই কৌশল হলো, শরীর শক্তি পাচ্ছে—মস্তিষ্কে এমন সংকেত দেওয়া।

৩. মুখের শুষ্কতা থেকে মুক্তি

দীর্ঘ সময় দৌড়ানো বা পরিশ্রমের সময় মুখের লালারস ঘন হয়ে জমে যায়। এতে শ্বাস নেওয়া বা কথা বলা কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে। কুলি করার মাধ্যমে সেই ঘন লালারস পরিষ্কার হয়ে যায়, মুখে সতেজ অনুভূতি ফিরে আসে এবং শ্বাসও সহজে নেওয়া যায়। এটি খেলোয়াড়কে আরাম দেয়; বিশেষ করে যখন তাঁর তৃষ্ণা বোধ হয়।

৪. পানির চাহিদা

সব খেলোয়াড়ের পানি পানের প্রয়োজন এক রকম নয়। কেউ কেউ সামান্য পানিতেই স্বস্তি পান, আবার বেশি খেললে বা ঘামলে তার বেশি পানির প্রয়োজন হয়।

তবে অনেকের ক্ষেত্রে খেলার মাঝখানে বেশি পানি পান করলে পেট ফাঁপা বা অস্বস্তি দেখা দেয়। তাদের জন্য তরল কুলি করে ফেলা হলো একধরনের ভারসাম্য—মুখের শুষ্কতাও দূর হলো, আবার পেটেও অতিরিক্ত চাপ পড়ল না।

জে.এস/

ফুটবল খেলোয়াড়

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250