ছবি : সংগৃহীত
ব্রিটনি লাকাও, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের একজন বাসিন্দা। নিজের ৩ দশমিক ১১ ইঞ্চি (৭ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার) চওড়া জিহ্বার কারণে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠেছে তার। এর আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন এমিলি শ্লেঙ্কার, তিনিও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তার জিহ্বা ছিল ২ দশমিক ৮৯ ইঞ্চি। প্রায় ১০ বছর এই রেকর্ড তিনি ধরে রেখেছিলেন।
লাকাওয়ের জিহ্বা যতটা চওড়া, সাধারণত একজন নারীর জিহ্বা অতটা লম্বা হয়ে থাকে না। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে লাকাও বলেন, ‘এটা দারুণ ও মজারও বটে।’
লাকাও অ্যাটর্নি হিসেবে কাজ করেন। আগে থেকেই তিনি পরিচিত মহলে ব্যতিক্রমী চওড়া জিহ্বার জন্য পরিচিত ছিলেন।
লাকাও বলেন, তিনি যখন কিশোরী ছিলেন, তখন পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে মজা করতেন।
আরো পড়ুন : মৃত স্বজনদের সঙ্গে কথা বলা যায় যে টেলিফোন বুথে!
অবশ্য এই চওড়া জিহ্বা নিয়ে লাকাও কখনো হীনম্মন্যতায় ভোগেননি। তবে তিনি কখনোই ভাবেননি, বিশ্বের মধ্যে তার জিহ্বাই সবচেয়ে চওড়া।
লাকাও গিনেস কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, তার খুব ঘনিষ্ঠ এক বান্ধবী প্রথম তার কাছে এমিলি শ্লেঙ্কারের ভিডিও নিয়ে আসেন। তার রেকর্ডের বিষয়ে জানার পরই তিনি নিজের জিহ্বার আকার জানতে উৎসাহী হয়ে ওঠেন। এরপর সব জেনে ওই রেকর্ড নিজের নামে করার জন্য আবেদন করেন।
লাকাও বলেন, মানুষ প্রথমবার তার জিহ্বা দেখার পর ‘অবাক’ হয়েছে এবং ‘কৌতূহলী’ হয়ে উঠেছে। তিনি বেশির ভাগ মানুষের কাছ থেকে এমন প্রতিক্রিয়াই পেয়েছেন।
লাকাও বলেন, তিনি কখনোই কোনো সহকর্মীকে তার জিহ্বা দেখাননি বা এখনো তিনি তাদেরকে তার রেকর্ড সম্পর্কে কিছু বলেননি।
সবচেয়ে চওড়া জিহ্বার পুরুষও যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা, নাম ব্রিয়ান থমসন। তার জিহ্বা ৩ দশমিক ৪৯ ইঞ্চি চওড়া।
সূত্র: ইউপিআই
এস/ আই.কে.জে/