ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, চাঁদাবাজ চক্রের হাত থেকে পরিবহন সেক্টরকে বাঁচাতে হবে। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বাঁচাতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।
মঙ্গলবার (২৪শে সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জাতীয় মটর শ্রমিক পার্টির সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পরিবহন মালিকদের দাবি সড়কের চাঁদার জন্য গণপরিবহনের ভাড়া বেড়ে যায়। গণপরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপার নিয়োগ দেয় শ্রমিক ইউনিয়ন, মালিকদের কর্তত্ব থাকেনা। কেউ প্রতিবাদ করলে তার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের চাঁদাবাজ চক্রের হাত থেকে মুক্তি দিতে হবে। সেইসাথে পরিবহন সেক্টরের সংস্কারও জরুরি হয়ে পড়েছে।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছে এটা আল্লাহর রহমত। এদেশের ছাত্র-জনতা গুলির সামনে বুক পেতে দিয়ে স্বৈরাচার হাসিনার পতন নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এতবড় আন্দোলনের নজির নেই। আন্দোলনে এত নির্যাতন আর হত্যাযজ্ঞের ইতিহাসও নেই আমাদের দেশে। আমাদের বীর সন্তানরা জীবন দিয়ে স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত করেছে, যা আমরা পারিনি। শেখ হাসিনার পতন না হলে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা কায়েম হতো। দেশে মাত্র একটি দলই থাকতো।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন জাতীয় পার্টি বর্জন করেছিলো। আমাদের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে চিকিৎসার নামে সিএমএইচে আটক করা হয়। তার নির্দেশে আমি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেই । আমিসহ জাতীয় পার্টির ২৭০ জন নির্বাচন বর্জন করি। ২০১৪ সালের সংসদে আমি যাইনি। মঞ্জুর হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন চাপে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সংসদে যেতে বাধ্য করে আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি না গেলেও উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভাসহ বেশ কিছু নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো বিএনপি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ প্রায় সকল দলই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো। আমরাও সেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। ২০২৪ সালের নির্বাচনে আমরা যেতে চাইনি। আমাদের নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘বিমানবন্দরে ভিআইপি সেবা পাবেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা’
জাতীয় মটর শ্রমিক পার্টির আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শিপনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব মনিরুল ইসলাম মিলন, প্রেসিডিয়াম সদস্য জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মনির আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুম্মন, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ সামছুল হক, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য এমএ রাজ্জাক খান, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন প্রমুখ।
এসি/কেবি