প্রতীকী ছবি
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় একটি চলন্ত বাসে এক নারী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বাসটির ড্রাইভার-হেলপার মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করেছে সিএমপির কর্ণফুলী থানা পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর বাকলিয়া থানাধীন নতুন ব্রিজ বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (১১ই সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ওসি-তদন্ত মেহেদী হাসান।
গ্রেফতার দুজন হলেন- আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের রাজা তালুকতার বাড়ির মো. ছৈয়দুল হকের ছেলে হেলপার সাহেদুল ইসলাম মিজান (১৯) ও পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের ভেল্লাপাড়া গ্রামের জামাল মেম্বার বাড়ির মৃত হাশেম খানের ছেলে ড্রাইভার মো. আজাদ খান প্রকাশ রানা (২০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ই সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী নারী রাত সাড়ে ৯টার সময় পটিয়ার মনসা বাদামতল এলাকা থেকে মিনিবাসে ওঠে চট্টগ্রাম শহরের বাসায় আসার উদ্দেশ্যে রওনা হন। বাসের অন্যান্য যাত্রীরা মইজ্জ্যারটেক মোড়ে নেমে গেলে ভিকটিম নারী বাসে একা হয়ে যান। পরে বাসটি শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজা পার হতেই তাকে একা পেয়ে হেলপার মিজান চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণ করে। পরে বাসটি নতুন ব্রিজের চত্বর ঘুরে আবারও সেতু পার হয়ে পটিয়ার দিকে রওনা হলে ড্রাইভারও নারীকে ধর্ষণ করে। পরে বাসটি বিভিন্ন জায়গা ঘুরে পটিয়া শান্তিরহাট বাজারে এসে ভিকটিমকে ফেলে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী কর্ণফুলী থানায় হেলপার, ড্রাইভার দুজনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কর্ণফুলী থানার ওসি তদন্ত মেহেদী হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
ওআ/ আই.কে.জে/