নতুন বছরের শুরুতেই সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় হিমায়িত পুরো দেশ। বেশিরভাগ অঞ্চলে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
ঘন কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা রাজধানীতেও। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ৬-৭ তারিখ পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। এরপর সূর্যের আলো পেলে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে।
শুক্রবার (৩রা জানুয়ারি) সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় (৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। এমন পরিস্থিতিতে তাপমাত্রা অনুকূলে ফেরার অপেক্ষা করছে দেশবাসী। কিন্তু আবহাওয়া অফিস বলছে, এই অপেক্ষা আরও দীর্ঘ হচ্ছে।
শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নঁওগা জেলাসহ রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শুক্রবার মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহণ এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। পাশাপাশি সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশে দিনের বেলাতেও শীতের অনুভূতি বিরাজ করতে পারে।
সড়ক ও মহাসড়কে বাস, ট্রাক, মাইক্রো, মোটরসাইকেল খুবই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চলাচল করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে ।
এদিকে সারাদেশে চলমান শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে রেলপথে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পাঠানো এক বিজ্ঞপিতেতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা হ্রাস পাওয়ায় রানিং স্টাফদের (ট্রেন পরিচালনায় যুক্ত কর্মী) যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। রেলক্রসিংয়ে দায়িত্বরত কর্মচারীদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। অরক্ষিত রেলক্রসিং পারাপারে পথচারীদের সতর্কতা এবং রেললাইনে অকারণে যাতায়াত পরিহার করতে নির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে।
ওআ/ আই.কে.জে/