ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় সিনেমায় অনেক অভিনেত্রী আছেন, কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকজন সত্যিই অনন্য। যেমন রম্যা কৃষ্ণণ—কখনো নায়িকা, কখনো খলনায়িকা, আবার কখনো পর্দার মা। আশ্চর্যের বিষয়, একই নায়কের সঙ্গে কখনো প্রেমিকার চরিত্রে, আবার কিছু বছর পর সেই নায়কের মায়ের ভূমিকায় তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়াডটকম।
২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া তেলেগু ছবি ‘নানি’-তে রম্যা কৃষ্ণণ ছিলেন মহেশ বাবুর প্রেমিকা। তখন মহেশ বাবু তার থেকে পাঁচ বছরের ছোট। দুই দশক পর আবারও তাদের একসঙ্গে দেখা গেল ২০২৪ সালের আলোচিত ছবি ‘গুন্তুর কারাম’-এ। তবে এবার রম্যা কৃষ্ণণ সেখানে মহেশ বাবুর মায়ের চরিত্রে। তবে যে চরিত্রেই হোক, তিনি মানিয়ে নেন ভিন্ন ভিন্ন রূপে।
রম্যা কৃষ্ণণের ক্যারিয়ার চার দশকের বেশি সময়জুড়ে বিস্তৃত। ২০০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি—তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালয়ালম থেকে বলিউড পর্যন্ত। নব্বইয়ের দশকে তামিল ও তেলেগু সিনেমায় তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছান। বিশেষ করে রজনীকান্তের সঙ্গে ‘পদায়াপ্পা’ (১৯৯৯) ছবির ‘নীলাম্বারি’ চরিত্র আজও দর্শকের মনে গেঁথে আছে।
তেলেগু সিনেমায় ‘আল্লারি মোগুদু’, ‘হ্যালো ব্রাদার’, ‘নারসিমহা নাইডু’তে তার অভিনয় স্মরণীয় হয়ে আছে। হিন্দি ছবিতেও সাহসী চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। সঞ্জয় দত্তের বিপরীতে ‘খলনায়ক’-এ তার চরিত্র বিশেষভাবে আলোচিত হয়। আবার যশ চোপড়ার ছবি ‘পরম্পরা’-তে বিনোদ খান্নার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যেও চমকে দিয়েছিলেন দর্শককে।
সময় গড়াতে গড়াতে রম্যা কৃষ্ণণ ধীরে ধীরে পরিণত ও শক্তিশালী চরিত্রে চলে আসেন। সবচেয়ে বড় প্রমাণ ‘বাহুবলী’ সিরিজের শিবগামি। রাজমৌলির এ ছবিতে তার অনবদ্য অভিনয় তাকে এনে দিয়েছে সর্বভারতীয় পরিচিতি ও সম্মান। কেবল চলচ্চিত্রে নয়, টেলিভিশন নাটক ও রিয়েলিটি শোতেও তিনি সমানভাবে সফল হয়েছেন।
বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়, রম্যা কৃষ্ণণের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৯৮ কোটি রুপি। দক্ষিণের এই নায়িকা প্রমাণ করেছেন, বয়স তার কাছে একটা সংখ্যা মাত্র। একসময় নায়িকা হয়ে দাপট দেখিয়েছেন, এখন ভিন্ন চরিত্রেও নিজের দক্ষতা দিয়ে টিকে আছেন।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন