ছবি: সংগৃহীত
মাহবুব রহমান
তবু আমি সকালের জয়গান গাই
দেখো, রাত শেষ হলো সুবিনয়,
আহা! দীঘল রজনী শেষে-
ক্রমাগত জেগে উঠছে প্রাণিকুল।
প্রশান্ত মহাসাগরের নীল জল
যা এখানো দেখিনি কেউ,
সেখানে যে রঙিন মৎস্য সাঁতরায়
তার মতো নির্ভীক ও নির্ভার মন নিয়ে
পেতে চাই একটি ভোর- উপদ্রবহীন।
কে তুমি?
নাচের মুদ্রার মতো ক্রমাগত পাপড়ি মেলে
প্রস্ফুটিত হলে মীরাদের বাগানে।
দোলন চাঁপা, শুভ্র জুঁই নাকি চন্দমল্লিকা?
বাতাসে সুগন্ধ, আর ফুলের সৌন্দর্য ভরা
এ মহিমান্বিত সকাল।
বিছানা থেকে পা রাখি মেঝেতে,
আহা! মৃত্তিকার শীতল স্পর্শে যেন
পৃথিবীকে বড় আপন মনে হয়,
ইচ্ছে করে ক্রমাগত সাঁতার কাটি-
করতোয়ার জলে।
যারা ছোট ছোট নৌকায় নুড়ি তুলছে,
প্রিয় পাথর শ্রমিক; তাদের সাথে মিশে যাই।
জীবনের সকল যাতনাকে
কীভাবে শ্রমের ঘাম দিয়ে
নিভিয়ে দেয়া যায়,
জীবনের কাছে তো কিছুই শিখিনি।
জীবনের পাঠে আমার বিমুখ মন,
আজ শ্রমিকের কাছে দীক্ষা নিতে ইচ্ছে করে।
ঐ যে লম্বা সুঁতো ছুড়ে দিয়ে জলের মধ্যে
জাল ফেলছে জলের পুত্র,
সুতোয় বন্দী রূপালি মাছ, জেলে ভাই।
পানকৌড়ির ঈর্ষা-
ও মাছ সংগ্রহ করে যায় ক্রমাগত,
কিন্তু আমি তো কিছুই সংগ্রহ করিনি।
হঠাৎ সকাল জানিয়ে দিল-
আমার রিক্ততা পূর্ণ করার আগে,
পাত্রকে শূন্যে রূপান্তর করো।
এমন সান্ত্বনা নিয়ে ফের ইচ্ছে করে
আহ্বান করি সূর্যকে,
হে সূর্য, আমাকে আরও কিছু সময় দাও,
দাও কিছুটা জীবনমুখী সকাল,
আমার যে এখনো নিজেকে প্রস্তুত করা হলো না।
আরএইচ/
খবরটি শেয়ার করুন