বৃহস্পতিবার, ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২০শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কিশোরগঞ্জের ইউএনও হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক লাক্স সুন্দরী *** ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখে ‘বর্ণবাদের দুর্গন্ধ’ *** আগামীকাল সকালে দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন জোবাইদা রহমান *** তেলের দাম বাড়ানো ব্যবসায়ীদের ‘কারণ দর্শানোর’ নোটিশ দিয়ে বৈঠকে ডেকেছে সরকার *** ৭ দিন নীরবতার পর ইমরানের টুইট, ভেঙে দিলেন দলের রাজনৈতিক কমিটি *** তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে দৃশ্যমান দ্বিধা ও অদৃশ্য বাধা *** আরও ৩৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা *** খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাবেন ১৪ জন, থাকবেন পুত্রবধূ শামিলা, ছয় চিকিৎসক *** অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ বৈধ, আপিল বিভাগে হাইকোর্টের রায় বহাল *** দেশে আসছেন জোবাইদা রহমান, খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়ার প্রস্তুতি

আমেরিকার পেটেন্ট পেল বাংলাদেশি করোনা টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৭:২৬ অপরাহ্ন, ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করোনা প্রতিরোধী এমআরএনএ টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ আমেরিকার পেটেন্ট (মেধাস্বত্ব) অর্জন করেছে। বাংলাদেশের ওষুধশিল্পে প্রথমবারের মতো কোনো টিকা আমেরিকার পেটেন্ট পেল।

আজ রোববার (১৪ই সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্লোব বায়োটেক জানায়, করোনাভাইরাসের প্রকোপের সময় তাদের বিজ্ঞানী ড. কাকন নাগ ও ড. নাজনীন সুলতানা নেতৃত্বে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট, টিকা ও ওষুধ তৈরির গবেষণা শুরু হয়। এর ফলে উদ্ভাবিত এমআরএনএ টিকা বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) থেকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পায়।

২০২০ সালে টিকার জেনেটিক কোডিং সিকোয়েন্স আমেরিকার এনসিবিআই ডেটাবেজে প্রকাশিত হয়। পরে গবেষণাপত্র আমেরিকার মেডিকেল জার্নাল এলসেভিয়ারের ভ্যাকসিন ও ব্রিটেনের নেচার সময়ীকিতে প্রকাশিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২০ সালে এই টিকাকে কোভিড ভ্যাকসিন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

গ্লোব বায়োটেক জানিয়েছে, বানরের ওপর ট্রায়ালে বঙ্গভ্যাক্স সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এটি এক ডোজে বিভিন্ন করোনা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও কার্যকর। টিকায় ব্যবহৃত ন্যানোটেকনোলজি ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভবিষ্যতে এমআরএনএসহ অন্যান্য প্রযুক্তির টিকা ও ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও জটিল রোগের আধুনিক ওষুধ তৈরি করা সম্ভব।

গবেষকরা জানান, আমেরিকার পেটেন্ট শুধু টিকার নয়, বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও নির্দেশ করে। চূড়ান্ত পরীক্ষার পর এটি জনগণের ব্যবহারে আসবে।

পেটেন্ট অর্জনের মাধ্যমে দেশি প্রযুক্তি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হলো। এতে বাংলাদেশের টিকা স্বনির্ভরতা নিশ্চিত হবে, কম খরচে টিকা উৎপাদন সম্ভব হবে এবং বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্ভাবন ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণ এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বঙ্গভ্যাক্স

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250