শুক্রবার, ১০ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** শেখ হাসিনাসহ দুই ডজন নেতা ভোটে অযোগ্য হচ্ছেন *** ইসরায়েলি কারাগার থেকে ইস্তাম্বুলের পথে শহিদুল আলম *** প্রশাসনে বিশেষ দলের লোক বসিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা চলছে: গোলাম পরওয়ার *** বিএনপির ধানের শীষ নিয়ে অযথা টানাটানি কেন, প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের *** ট্রাম্পের আশাভঙ্গ, শান্তিতে নোবেল জিতলেন ভেনেজুয়েলার মারিয়া কোরিনা *** মানুষের শরীরে শূকরের যকৃৎ, চীনা চিকিৎসকদের সাফল্য *** মাহফুজ-সারজিসরা গণ–অভ্যুত্থানের প্রকৃত নায়ক নন, যা বললেন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম *** দায়মুক্তি পাচ্ছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮টি ধারার মামলার আসামিরা *** নোবেল না পেলে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া কী হবে—শঙ্কিত নরওয়ে *** অবশেষে গাজায় শান্তির আভাস, শান্তিচুক্তি সই

অদ্ভুত গাছের দেখা মিলল ভারতে!

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৫৩ অপরাহ্ন, ৩রা এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের আলুরি সীতারামা রাজু জেলার পাপিকোন্ডা ন্যাশনাল পার্কে বন কর্মকর্তারা ইন্ডিয়ান লরেন্স নামের একটি গাছের ছাল কেটে ফেলেন। তখন সেখান থেকে ফিনকি দিয়ে পানি বের হতে থাকে। এই গাছটিকে ইন্ডিয়ান লরেল ট্রি বলা হয়, যেটি গ্রীষ্মকালে নিজের ভেতরে পানি জমা করে রাখে। বৌদ্ধ ধর্মের লোকেরা গাছটিকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। বিশেষ করে গোদাবরী অঞ্চলের পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী উপজাতি গোষ্ঠী কোন্ডা রেড্ডি সম্প্রদায় এই গাছ সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিল। তারা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এর বাকল কেটে তৃষ্ণা মেটাচ্ছে।

শনিবার (৩০শে মার্চ) একটি ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ছাল কাটার সঙ্গে সঙ্গে তা থেকে পানি বেরোতে শুরু করেছে। ওই সময় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি জি নরেন্দ্রন বন বিভাগের দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।

আরো পড়ুন : বিরল এই সূর্যগ্রহণকে সাক্ষী রেখে শত-শত বিয়ের আয়োজন!

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নরেন্দ্রন বলেন, ‘যখন আমরা জাতীয় উদ্যানে ভারতীয় লরেল গাছের ছাল কেটে ফেলি, তখন সেখান থেকে পানি বেরিয়ে আসে। কোন্ডা রেড্ডি উপজাতি গাছটি সম্পর্কে তাদের আদিবাসী জ্ঞান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শেয়ার করেছিল। গ্রীষ্মকালে, ভারতীয় লরেল গাছে পানি জমে যা তীব্র গন্ধযুক্ত এবং টক স্বাদযুক্ত। ভারতীয় বনের গাছগুলোতে একটি আশ্চর্যজনক অভিযোজন দেখা গেছে।’

উল্লেখ্য, ভারতীয় লরেলের কাঠ সিলভার ওক নামেও পরিচিত। এর উচ্চ বাণিজ্যিক মূল্য রয়েছে। যে কারণে বন কর্মকর্তারা এসব গাছের প্রজাতি সংরক্ষণের ব্যবস্থা হিসেবে গাছগুলোর সঠিক অবস্থান প্রকাশ করেননি। সহজ ভাষায় একে কুমিরের ছাল গাছও বলা হয়। এই গাছের উচ্চতা প্রায় ৩০ ফুট লম্বা হতে পারে এবং এটি বেশির ভাগ শুষ্ক ও আর্দ্র বনাঞ্চলে পাওয়া যায়। এই গাছের সবচেয়ে বিশেষ বিষয় হলো এর কাণ্ড পানিতে ভরা, যেখানে অন্যান্য গাছের তুলনায় এর কাণ্ড ফায়ার প্রুফ। এই গাছের অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকেরা একে বোধিবৃক্ষ নামেও ডাকে। তারা বিশ্বাস করে যে, এই গাছের নিচে তপস্যা করার সময় বোধিসত্ত্ব জ্ঞান লাভ করেছিলেন।

এস/ আই.কে.জে/ 

ভারত অদ্ভুত গাছ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250