ঝোড়ো এক ইনিংস খেলেছেন তাওহীদ হৃদয়। ছবি: এএফপি
ফিল্ডিংয়ে দুটি ক্যাচ ছাড়লেন। এর মধ্যে অবশ্য একটিকে ‘অপরাধ’ হিসেবে ধরা যাবে না। কারণ ক্যাচ ছাড়ার পরপরই তার দারুণ এক থ্রোয়ে চারিত আসালাঙ্কাকে রানআউট করেন লিটন দাস। ফিল্ডিংয়ের হতাশা তাওহীদ হৃদয় পরে ভুলিয়ে দিলেন ব্যাটিং দিয়ে। তার প্রশংসায় তাই পঞ্চমুখ ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শনিবার (২০শে সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্য ১ বল ৪ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। তাড়া করতে নেমে সুর বেঁধে দেন সাইফ হাসান। পরে মাঝের ওভারে ঝোড়ো এক ইনিংস খেলেন হৃদয়। ৩৭ বলে ৫৮ রানের সেই ইনিংসটি সাজান ৪ চার ও ২ ছক্কায়।
এই ইনিংসের আগে রান খরায় ভুগছিলেন হৃদয়। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে তার ৩৬ বলে অপরাজিত ৩৫ রান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বেশ। পরে বাকি ম্যাচগুলোতেও পাননি রানের দেখা। তবে সুপার ফোরে স্বরূপে ফিরে সব সন্দেহ যেন দূর করলেন তিনি। যেমনটা করেছেন হার্শা ভোগলের ক্ষেত্রেও।
এক্সে হার্শা লিখেন, ‘তাওহীদ হৃদয় কতটা ভালো, সে ব্যাপারে অনেক কথা শুনেছি। মাঝেমধ্যে তার ঝলকও দেখেছি। কিন্তু আজ সে নিজের ক্লাস দেখাল। উঁচুমানের ইনিংস।’
তাওহীদ হৃদয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হৃদয় ফিফটি পেলেন ১১ মাস পর। সবশেষ ২০২৪ সালের অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে ৬৩ রান করেন তিনি। তার সামগ্রিক স্ট্রাইক-রেট ১২৪.০৭ হলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাট করেন ১৩৩.৭৫ স্ট্রাইকরেটে। শনিবার অবশ্য স্ট্রাইক-রেট ছিল ১৫৬.৭৫। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার ২০ বলে ৪০ রানের ইনিংসেই লঙ্কানদের হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
খবরটি শেয়ার করুন