বুধবার, ১২ই মার্চ ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৮শে ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** অভিনেত্রী শমী কায়সারকে জামিন দিলেন হাইকোর্ট *** দেশে নতুন করে রোহিঙ্গা আসা বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** রিজার্ভ চুরির ঘটনা পর্যালোচনায় আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে কমিটি *** এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিব *** ফেসবুকে ছড়ানো নতুন উপদেষ্টা নিয়োগের খবর ভুয়া: প্রেস সচিব *** বাংলাদেশকে অর্থ সহায়তা দেবে কানাডা *** ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পেলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সেই শামীমা *** দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ‘ডিক্লারেশন’ বাতিল *** এমবিবিএস–বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া ‘ডাক্তার’ লেখা যাবে না: হাইকোর্ট *** আমেরিকা-চীনের বাণিজ্যযুদ্ধের সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ

ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পেলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সেই শামীমা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:৩১ অপরাহ্ন, ১২ই মার্চ ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী শামীমা বেগম। দুই ব্রিটিশ নাগরিকের নাগরিকত্ব ফেরত পাওয়ার মামলার আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১২ই মার্চ) ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট শামীমা ও অন্য আবেদনকারীর পক্ষে রায় দেন। ব্রিটিশ মানবাধিকার সংগঠন ইউকে হিউম্যান রাইটস ব্লগ এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে।

এন-৩ ও জেডএ বনাম ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (২০২৫) ইউকেএসসি-৬ মামলায় শামীমার পক্ষে রায় দেন আদালত। মামলাটি ছিল মূলত জাতীয় নিরাপত্তা বিবেচনায় এ দুই ব্রিটিশ নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল সম্পর্কিত আদেশ নিয়ে। বিবাদীপক্ষ যুক্তি দিয়েছিল যে, এই সিদ্ধান্ত (নাগরিকত্ব বাতিল) তাদের রাষ্ট্রহীন করে তুলবে না। কারণ, তারা ব্রিটিশ ও বাংলাদেশি দ্বৈত নাগরিকত্বধারী।

এই মামলায় পরে নাগরিকত্ব বাতিলের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছেন যে, এই আদেশ প্রত্যাহারের ফলে আপিলকারীদের পুরো সময় ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবেই গণ্য করতে হবে। অর্থাৎ, শামীমা অতীতে ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন, এখনো আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম ২০১৫ সালে ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে যখন ব্রিটেন ছাড়েন, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। সিরিয়ায় যাওয়ার পর তিনি ইসলামিক স্টেটের ডাচ সদস্য ইয়াগো রিয়েডিকে বিয়ে করেন। সেখানে তার তিনটি সন্তান হয়, যাদের সবাই মারা যায়। এরপর স্বামী রিয়েডিও এক কুর্দি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন বলে জানা যায়।

সেই ঘটনাপ্রবাহের পর শামীমা ব্রিটেনে ফিরতে চান। কিন্তু ২০১৯ সালে ব্রিটেনের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেন। ওই সময় ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তি দিয়েছিল, শামীমার নাগরিকত্ব বাতিলের মূল কারণ ছিল জাতীয় নিরাপত্তা।

নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের সেই সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য ২০২৩ সালে ২৪ বছর বয়সী শামীমার আইনজীবীরা আপিল বিভাগে একটি আবেদন করেছিলেন। আপিল আদালতের তিনজন বিচারক সর্বসম্মতিক্রমে তার নাগরিকত্ব পুনরুদ্ধারের আবেদন খারিজ করে দেন।

২০১৯ সালে আইএস পরাজিত হওয়ার পর সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আল–রোজ শিবিরে শামীমার সন্ধান পাওয়া যায়। তিনি এখনো সেখানেই আছেন। শামীমার আইনজীবীরা বলছেন, সেই শিবিরের অবস্থা করুণ! সেখানে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন মানুষ। রোগবালাই নিত্যকার ঘটনা। সেখানে শামীমাকে অন্য ব্রিটিশ নারী ও শিশুদের সঙ্গে নির্বিচারে আটকে রাখা হয়েছে। অমানুষিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে সেখানে।

শামীমা বেগম জেনেশুনে একটি নিষিদ্ধ সংগঠনে যোগদানের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, এই কাজের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত। তবে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার ব্রিটেনের সুরক্ষা এবং তা বজায় রাখা। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এমন যে কোনো সিদ্ধান্ত রক্ষার্থে আমরা অটল থাকব।’

এইচ.এস/

শামীমা বেগম

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন