ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনের ট্রায়াল রান আগামী বৃহস্পতিবার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ।
মঙ্গলবার (৮ই অক্টোবর) গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের মানুষের প্রতি যে প্রতিশ্রুতি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেলের স্টেশনগুলো চালু করা, তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে কাজীপাড়া সীমিত পরিসরে চালু করেছি। তা যাত্রীদের বেশ উপকারে আসছে। মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনের কাজও প্রায় শেষের দিকে। আগামী ১০ই অক্টোবর আমরা প্রস্তুতিমূলকভাবে স্টেশনের কার্যক্রম চালু করবো। তারপর তা উপদেষ্টার নজরে দেবো। চেষ্টা আছে এই অক্টোবরেই এটি চালু করার।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৮ই জুলাই মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এরপরই দীর্ঘ সময়ের জন্য অনিশ্চিত হয়ে যায় মেট্রোরেল চলাচল। ৩৭ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৫শে আগস্ট আবার চালু হয় মেট্রোরেল। তবে বন্ধ থাকে মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন। এরও ২৬ দিন পর কাজীপাড়া স্টেশন চালু করা হয়। তবে মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন চালু করা সম্ভব হয়নি।
ডিএমটিসিএলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানান, স্টেশনের ক্ষতিগ্রস্ত সরঞ্জামগুলোর বেশির ভাগ বিকল্প হিসেবে তুলনামূলকভাবে কম ব্যবহৃত দুই স্টেশন এবং মেট্রোরেল প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনের জন্য বিজয় সরণি ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশন থেকে কিছু যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে এবং ডিএমটিসিএলের ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকেও কিছু যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে।
তারা জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিরপুর-১০ স্টেশন পুনরায় চালুর নির্দেশ দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত সব সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছিল এবং আবার বিদেশ থেকে এনে সেগুলো প্রতিস্থাপন করা দীর্ঘ ও সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। সময় বাঁচাতে মেট্রো স্টেশনের অফিসের জানালার জন্য গ্লাস আমদানি না করে স্থানীয় গ্লাস ব্যবহার করা হচ্ছে।
ওআ/কেবি