ছবি: সংগৃহীত
‘তিনি নাকি নির্বাচন বোঝেন না। তাহলে এমন চিঠি কীভাবে দিলেন! এই নোংরামিটা করা উচিত নয়। নির্বাচন হবে সুষ্ঠু। এখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না।’
কথাটা জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে উদ্দেশ করে বলেছেন জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার এই বক্তব্যে পরিষ্কার—৬ই অক্টোবরের বিসিবি নির্বাচনে তারা দুজন শুধু প্রার্থীই নন, এই নির্বাচন দুজন সাবেক ক্রিকেটারের সম্পর্কটাকে তিক্ততার শেষ সীমায়ও নিয়ে যেতে পারে।
রোববার (২১শে সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফারস্ হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা, বিভাগ ও ক্লাব সংগঠকদের একটি পক্ষ নির্বাচনের জন্য জেলা ও বিভাগের কাউন্সিলরদের নাম পাঠানোয় সরকারি হস্তক্ষেপ ও বিসিবি সভাপতির ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন। সেখানেই আমিনুলকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তামিম।
জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর মনোনয়নে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগে দায় দেওয়া হচ্ছে আমিনুলকে। এটা অবশ্য অনেকটাই ‘ওপেন সিক্রেট’ যে শেষ মুহূর্তে মোহাম্মদ আশরাফুলের জায়গায় ঢাকা বিভাগের কাউন্সিলর হওয়া আমিনুল বিসিবির নির্বাচনে মূলত সরকারদলীয় প্রার্থীই। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সমর্থন আছে তার প্রতি। পরিচালক নির্বাচিত হলে আমিনুল বিসিবির সভাপতি পদের জন্যও লড়বেন।
অন্যদিকে তামিম ইকবালকে বিএনপির প্রার্থী বলে আরও আগেই উল্লেখ করেছেন বিসিবির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগর লবী। তামিমের নির্বাচনী কর্মকাণ্ডেও বিএনপি দলীয়দের সংশ্লিষ্টতা লক্ষণীয়।
সংবাদ সম্মেলনে বসে তিনি কাউন্সিলর মনোনয়নে অনিয়মের অভিযোগ তুললেন, সেখানেও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনসহ তামিমের আশপাশে থাকা সবার রাজনৈতিক পরিচিতি ‘বিএনপির লোক’ হিসেবে। ঘোষণা দিয়ে বলা না হলেও তাই কারও বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না যে তামিম বিএনপির সমর্থন নিয়েই বিসিবির নির্বাচনে নেমেছেন।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন