প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনের নামে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে, ধ্বংসাত্মক কাজ করেছে, অনেকগুলো প্রাণ শেষ হয়ে গেছে.. আমি কোনোদিন ভাবতে পারিনি, এই সময়ে এই ধরনের অবস্থা সৃষ্টি হবে। আর সেখানে এতগুলো তাজা প্রাণ যাবে।
বুধবার (৩১শে জুলাই) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমান।
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কষ্টের বিষয় হলো, যেখানে কোনো ইস্যুই ছিল না, যে কোটা আমি সম্পূর্ণভাবে বাতিল করে দিয়েছিলাম, হাইকোর্টের রায়ে এটাকে যখন আবার নিয়ে আসা হয়, তখন আমরা সরকারের পক্ষ থেকে আপিল করি। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানির তারিখ নির্দিষ্ট করে দেন। কাজেই আবার সেই কোটা ফিরে আসে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি না অপরাধটা কী আমাদের। যে ইস্যুটা নেই সেটা নিয়ে আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে কে কী অর্জন করল সেটাই আমার প্রশ্ন। সেখানে এতগুলো তাজাপ্রাণ ঝরে গেল। সেগুলো তো আর ফিরে পাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন: জাতীয় মৎস্য পদক পেলেন ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান
তিনি বলেন, স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে আমি বেঁচে আছি। আমি জানি আপনজন হারালে কী কষ্ট হয়। মানুষ একটা শোক সইতে পারে না আর আমি তো সবাইকে হারিয়ে বেঁচে আছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে সম্মানের সাথে দেখে। সেই বাংলাদেশে আবার রক্ত ঝরবে, কেন এই রক্ত ঝরা। আজকে আমরা যাদের হারিয়েছি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে ক্ষমতা তো ভোগের বস্তু না। আমি তো আরাম-আয়েশ করার জন্য ক্ষমতায় আসিনি। আমি দিনরাত পরিশ্রম করেছি বাংলাদেশকে উন্নত করতে, আর সেটা আমি সফলভাবে করতে পেরেছি। আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সেই মর্যাদা কেন নষ্ট করা হলো, সেটার বিচারের ভার আমি দেশবাসীর কাছে দিচ্ছি।
অনুষ্ঠানে মৎস্য খাতে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় মৎস্য পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। পদক হিসেবে ছিল ৬টি স্বর্ণ, ৮টি রৌপ্য ও ৮টি ব্রোঞ্জ পদক।
এসি/ আই.কে.জে/