ছবি: সংগৃহীত
সুযোগটা পেয়েছেন আট বছর পর, হাইকোর্টের এক আদেশের মাধ্যমে। সেজন্য উচ্ছ্বসিত কক্সবাজার ও টেকনাফের জেলেরা। তারা নাফ নদীতে মাছ ধরার আবার সুযোগ পেয়েছেন। তারা নদীতে গিয়ে মাছ ধরার পাশাপাশি উল্লাসও করছেন। জেলেরা জানান, তাদের জালে মণের পর মণ মাছ ধরা পড়ছে।
উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ এবং মাদকপাচার ঠেকাতে আট বছর আগে নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ করে দেয় তৎকালীন সরকার।
তখন এই অঞ্চলের জেলে পরিবারের মধ্যে নেমে আসে দুঃখ-দুর্দশা। অনেক জেলে নাফ নদীতে মাছ ধরতে না পেরে দিনমজুর ও জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করে সংসার চালাতে থাকেন।
শাহপরীর দ্বীপের জেলে মো. আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, নাফ নদীতে এখন মাছ ধরতে পেরে আমরা আনন্দিত। যখন নাফ নদী বন্ধ ছিল, তখন আট বছর পরিবার নিয়ে খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটিয়েছি।
কক্সবাজারের সীমান্ত জনপদ টেকনাফের নাফ নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা সম্প্রতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। হাইকোর্টের এক আদেশে বাংলাদেশি জেলেরা মাছ ধরার অনুমতি পেয়েছেন।
তবে এ ক্ষেত্রে রয়েছে পাঁচটি শর্ত। আর শর্তগুলো মেনে চলা হচ্ছে কী না এবং সীমান্ত পরিস্থিতি আগামী তিন মাস পর্যন্ত পর্যালোচনা করে অনুমতির নবায়ন বা স্থগিত করা হবে বলেও আদেশে বলা হয়েছে। তারপরও এ নিয়ে টেকনাফের জেলেপল্লীতে চলছে খুশির জোয়ার।
শর্ত অনুসারে, জেলেরা সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশের সীমানার অভ্যন্তরে নাফ নদীতে শাহপরীর দ্বীপ থেকে টেকনাফ জেটিঘাট পর্যন্ত মাছ ধরতে পারবেন। তারা মাছ ধরতে যাওয়ার সময় বিজিবির পাঁচটি নির্ধারিত পোস্টে টোকেন, পরিচয়পত্র দেখাবেন এবং মাছ ধরা শেষে ফেরত আসার পর বিজিবির পোস্টে তল্লাশি করার ব্যাপারে বিজিবি সদস্যকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবেন।
হা.শা./কেবি
খবরটি শেয়ার করুন