ছবি: সংগৃহীত
দেশে কয়েক বছর ধরেই গ্যাস সরবরাহে সংকট চলছে। বিভিন্ন সময় তাই এক খাতে কমিয়ে আরেক খাতে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে (রেশনিং)। গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ খাতে সরবরাহ বাড়লে অন্য খাতে কমে যায়। এর মধ্যেও গত বছরের তুলনায় এবার শিল্পে বাড়তি গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
আজ সোমবার (২৬শে মে) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বাড়তি গ্যাস সরবরাহের কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গত বছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় এবারের প্রথম চার মাসে শিল্পে ২১ শতাংশ বাড়তি গ্যাস সরবরার করা হয়েছে।
জ্বালানি বিভাগ বলছে, গত বছর জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দিনে গড়ে গ্যাস সরবরাহ হয়েছে ৮২ কোটি ৩০ লাখ ঘনফুট। এবার গড়ে সরবরাহ করা হয়েছে ৯৯ কোটি ৭০ লাখ ঘনফুট। তবে ধীরে ধীরে সরবরাহ আরও বাড়ানো হচ্ছে। এর মধ্যে গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সরবরাহ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
গত বছরের এপ্রিল মাসে দিনে গড়ে সরবরাহ করা হয়েছে ৭২ কোটি ৬০ লাখ ঘনফুট। এবারের এপ্রিল মাসে সরবরাহ করা হয়েছে ১০৮ কোটি ৮০ লাখ ঘনফুট।
তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) ব্যাখ্যা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারে পাঠিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। এতে বলা হয়, ‘শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে শিল্প–সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য পেট্রোবাংলার নজরে এসেছে।’ এ পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বক্তব্য, শিল্পে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য গত বছরের তুলনায় এবার ছয়টি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) কার্গো বেশি আমদানির ব্যবস্থা করা হয়েছে; এর আমদানি মূল্য প্রতি ঘনমিটার ৬৫ টাকা।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন