ছবি : সংগৃহীত
প্রলয়ঙ্করী বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১২টি জেলায় প্রায় ৬০ লাখ মানুষ পানিবন্দি। পুরোদমে চলছে ত্রাণ কার্যক্রম। কোনো কোনো অঞ্চল থেকে বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও পানি বাড়ছে বা নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যার পানি হয়তো দু-তিন সপ্তাহের মধ্যেই নেমে যাবে। কিন্তু এর প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী। কারণ ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম বা পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু উপজেলার বাসিন্দাদের কাছে এটি ইতোমধ্যে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হিসেবে অভিহিত হয়েছে।
এ দেশের জনগণ বন্যা, ঘূর্ণিঝড় অসীম সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করে থাকে। এবারও চলছে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত গণত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরণ, যা এর আগে কমই দেখা গেছে। এবারের বন্যায় যেমন সুশৃঙ্খলভাবে ত্রাণসামগ্রী, আর্থিক সহায়তা সংগ্রহ ও বিতরণ সম্পন্ন হচ্ছে, তা ভবিষ্যতের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
এ কথা অনস্বীকার্য, বন্যায় শুধু ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়নি; ছন্দপতন ঘটেছে জীবন চলার প্রক্রিয়ায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাজার, স্কুল, মাছের ঘের ও পুকুর, গবাদি পশুসহ জীবন-জীবিকার সহায়ক উপাদান। সুতরাং মানবিক বিপর্যয় রোধে দ্রুততম সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি।
আই.কে.জে/