শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনা মধ্যস্থতায় শুরু হচ্ছে হামাস-ফাতাহ ঐক্য আলোচনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

হামাস ও ফাতাহের মধ্যে এই রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। মূলত ফাতাহের একপ্রকার বিরোধিতা থেকেই হামাসের জন্ম। হামাস শুরুর দিকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব মেনে না নিলেও ইদানীং দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

এবার প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও এর প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী ফাতাহের মধ্যে ঐক্য আলোচনার আয়োজন করতে চলেছে চীন। চীনের তরফ থেকে প্যালেস্টাইনের দুই বিবদমান পক্ষের মধ্যে ঐক্যের এই আলোচনা একটি বিরল পদক্ষেপ। 

শুক্রবার (২৬শে এপ্রিল) বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এ কথা জানিয়েছে। চীনেই এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। 

ফাতাহ পশ্চিমা বিশ্ব সমর্থিত এবং প্যালেস্টাইনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি রাজনৈতিক দল। এই দলটি ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে সীমিত স্ব-শাসনের কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিপরীতে হামাস পশ্চিমা বিশ্বের কাছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। 

এর আগে, ২০০৭ সালে এক সংক্ষিপ্ত যুদ্ধে হামাস গাজা থেকে ফাতাহকে বিতাড়িত করে। এর পর থেকেই দল দুটি রাজনৈতিক বিরোধ সারতে ব্যর্থ হয়েছে। ওয়াশিংটন এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্যের পদক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক। কারণ আমেরিকা ফাতাহ তথা প্যালেস্টাইনি কর্তৃপক্ষকে সমর্থন করলেও হামাসকে সন্ত্রাসী হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে। 

ফাতাহের এক নেতা জানিয়েছেন, জ্যেষ্ঠ নেতা আজাম আল-আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল চীনে রওনা হয়েছে। হামাসের এক নেতা বলেছেন, হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা মুসা আবু মারজুকের নেতৃত্বে আলোচনায় যোগ দেবে। 

আরও পড়ুন: এখনো উত্তাল আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, আন্দোলনে অটল শিক্ষার্থীরা

তবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত না করে বলেছেন, আমরা প্যালেস্টাইনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্বকে শক্তিশালী করার বিষয়টি সমর্থন করি এবং আলোচনা ও পরামর্শের মাধ্যমে (হামাস ও ফাতাহের মধ্যে) ঐক্য অর্জন এবং সংহতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সব প্যালেস্টাইনি উপদলকে সমর্থন করি। 

গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম হামাসের কোনো প্রতিনিধি চীনে গেল। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনা কূটনীতিক ওয়াং কেজিয়ান গত মাসে কাতারে হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বেইজিংয়ের এই কূটনীতিক দুই প্যালেস্টাইনি প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর মধ্যে পুনর্মিলনের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেওয়া। 

চীন সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান হারেই কূটনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে যাচ্ছে। আরব দেশ ও ইরানের সঙ্গে দেশটি শক্তিশালী সম্পর্ক উপভোগ করছে। গত বছর, বেইজিং দীর্ঘদিনের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে একটি যুগান্তকারী শান্তি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছে। চীনা কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক সময় আন্তর্জাতিক ফোরামে প্যালেস্টাইনিদের পক্ষে ব্যাপক কথা বলছে। দেশটি ইসরায়েল-প্যালেস্টাইনি শান্তি সম্মেলন এবং একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার আহ্বান জানিয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স, আরব নিউজ

এসকে/ 

চীন হামাস

খবরটি শেয়ার করুন