রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে রাহাত ফতেহ আলী খানের সৌজন্য সাক্ষাৎ *** সাধারণ মানুষ সংস্কার বোঝে না, তারা বোঝে যেন ভোট ঠিকভাবে দিতে পারে : ফখরুল *** বাংলাদেশকে আরও ৪০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক *** নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চলবে : পরিবেশ উপদেষ্টা *** ‘মহাকালের পাতায় হাসান আরিফের কৃত্তি লেখা থাকবে’ *** দুদক চেয়ারম্যান নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন *** ওয়েজ বোর্ড সিস্টেম বাতিল করে সাংবাদিকদের নূন্যতম বেতন চালু করা উচিত : শফিকুল আলম *** রেমিট্যান্সে সুখবর : ২১ দিনেই এলো ২০০ কোটি ডলার *** রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আটকানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** সন্ধ্যার মধ্যেই ৩ বিভাগে নামবে বৃষ্টি!

আগ্নেয়গিরি থেকে হচ্ছে সোনার বৃষ্টি!

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:১০ পূর্বাহ্ন, ১৫ই মে ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

প্রতিদিন নিয়ম করে হচ্ছে সোনার বৃষ্টি। শুনতে অবাক মনে হলেও পৃথিবীর এক প্রান্তে ঘটে চলেছে এমন চমক জাগানিয়া ঘটনা। বরফে মোড়া একটি আগ্নেয়গিরি থেকে এভাবেই চারদিকে ছিটকে পড়ে সোনা। প্রতিদিন ৮০ গ্রাম সোনা উগড়ে দেয় ওই আগ্নেয়গিরি, যার দাম ৭ লাখ টাকা। সোনা উগড়ে দেওয়া ওই আগ্নেয়গিরির নাম মাউন্ট এরিবাস। সম্প্রতি নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

পৃথিবীর একেবারে দক্ষিণ প্রান্ত অ্যান্টার্কটিকায় মাউন্ট এরিবাসের অবস্থান। এর চেয়ে দক্ষিণে আর কোনো সক্রিয় আগ্নেয়গিরি নেই। জানা গেছে, এই এরিবাস আগ্নেয়গিরি থেকেই গ্যাস, পাথর, বাষ্পের সঙ্গে ছিটকে পড়ছে কেলাসিত সোনা। এরিবাসের প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে সেই লাভা। তা পরীক্ষা করেই এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা।

আগ্নেয়গিরি থেকে সোনা ছিটকে পড়লেও কাছে যেতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। দূর থেকেই পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে তাদের। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এরিবাস আগ্নেয়গিরি যেখানে রয়েছে, সেখানে তাপমাত্রা যে কোনো সময়ে মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যেতে পারে। তাই সেখানে যাওয়া একেবারেই নিরাপদ নয়। মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

আরো পড়ুন : যে নদীতে বয়ে চলে ফুটন্ত পানি!

রস সাগরের মধ্যে রস দ্বীপে এই মাউন্ট এরিবাসের অবস্থান। ১৮৪১ সালে ক্যাপ্টেন স্যার জেমস ক্লার্ক রস এ দ্বীপ আবিষ্কার করেন। তার নামেই এটি রস দ্বীপ নামেও পরিচিত। অ্যান্টার্কটিকায় প্রায় ১৩৮টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৯টি সক্রিয়। তার মধ্যে উচ্চতম হলো মাউন্ট এরিবাস। এর উচ্চতা প্রায় ৩ হাজার ৭৯৪ মিটার বা ১২ হাজার ৪৪৮ ফুট।

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী উপগ্রহ জানিয়েছে, পাতলা ভূত্বকের ওপর রয়েছে মাউন্ট এরিবাস আগ্নেয়গিরি। ফলে গলিত পাথর, ভস্ম আরও সহজে বেরিয়ে আসছে। সেই সঙ্গেই বেরিয়ে আসছে সোনাও। মাউন্ট এরিবাসের গহ্বরে রয়েছে একাধিক লাভার হ্রদ। তার মধ্যে একটি সক্রিয় রয়েছে ১৯৭২ সাল থেকে। তার ফলে মাঝেমধ্যে এরিবাস থেকে বেরিয়ে আসছে লাভা।

এই মাউন্ট এরিবাসের ওপর একটি বিমান ভেঙে পড়েছিল। ঘটনাটি ছিল ১৯৭৯ সালের ২৮শে নভেম্বর। এতে প্রাণ হারিয়েছিলেন বিমানের ২৫৭ আরোহীর সবাই। এয়ার নিউজিল্যান্ডের একটি বিমান অ্যান্টার্কটিকার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে অকল্যান্ডে ফেরত আসার কথা ছিল। কিন্তু মেঘলা আবহাওয়ার মধ্যে বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে। কাউকেই জীবিত উদ্ধার করা যায়নি। তবে কয়েকজন যাত্রীর ক্যামেরা উদ্ধার করা সম্ভব হয়। সেখানেই ছিল আগ্নেয়গিরির অসংখ্য ছবি।

এস/ আই.কে.জে/


সোনার বৃষ্টি আগ্নেয়গিরি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন