বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গবাদিপশুর খামার মাছিমুক্ত রাখবেন যেভাবে

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:১০ অপরাহ্ন, ১৪ই এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

মাছি নামক ছোট্ট প্রাণিটি আপনার গবাদিপশুর খামারের বিরাট ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই গবাদিপশুর খামারকে মাছিমুক্ত রাখা অত্যাবশ্যকীয় একটি কাজ। মাছি হলো জীবানু ছড়ানোর অন্যতম মাধ্যম। এছাড়া গরু ছাগলের শরীরে বিভিন্ন অপকারী ভাইরাস ঢুকিয়ে পশুগুলোকে সহজেই রোগাক্রান্ত করে দিতে পারে। তাই খামারকে মাছি মুক্ত রাখতে আপনি যা করবেন-

পোষা প্রাণী প্রতিদিনই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়। আপনাকে নিয়মতি ও দ্রুত সেসব পরিষ্কার করতে হবে। নাহলে একটু দেরি করলেই মাছিরা পেয়ে যায় বংশরক্ষার বিপুল সুযোগ। কারণ, পোষা প্রাণীর মল মাছিদের ডিম পাড়ার মোক্ষম জায়গা। একবারে ৭৫–১৫০টি ডিম পাড়ে এরা। ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোতে সময় লাগে মাত্র ২৪ ঘণ্টা। তাই আলসেমি করে পোষা প্রাণীর মল এক দিন ফেলে রাখা মানে ১৫০টি মাছিকে বাসায় স্বাগত জানানো। অতএব পোষা প্রাণীর মলমূত্র সাফ করুন দ্রুত সময়ের মধ্যে এবং খাঁচা রাখুন পরিষ্কার।

লেবু খণ্ড করে কেটে ভেতরের অংশে অনেকগুলো লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা ঢুকাবেন শুধুমাত্র লবঙ্গের মাথার দিকের অংশ বাইরে থাকবে। এরপর লেবুর টুকরাগুলো একটি প্লেটে করে খামারের কোণায় রেখে দিন। এই পদ্ধতিতে মশা- মাছি, পোকামাকড় একেবারেই দূর হয়ে যাবে।

মাছি তাড়াতে খামারের আশেপাশে কিছু গাছ লাগান। খুব পরিচিত কিছু গাছ লাগালেই হবে। যেমন পুদিনা, লেমনগ্রাস ও তুলসী। টবে লাগাতে পারেন এই গুল্মগুলো। টবগুলো সাজিয়ে রাখতে হবে সামনের ও পেছনের দরজার আশপাশে। জানালার পাশেও রাখতে পারেন।

ব্যবহৃত চা-পাতা ফেলে না দিয়ে ভাল করে রোদে শুকিয়ে নিন। এইভাবে ওই চা পাতা ধুনোর বদলে ব্যবহার করুন। শুকনো চা পাতা পোড়ানো ধোঁয়ায় সমস্ত মশা, মাছি পালিয়ে যাবে।

আরো পড়ুন: ডিমের খোসা থেকে তৈরি সারের ব্যবহার

গরুর গায়ে স্প্রে করার জন্য ২ মিলি তারপিন তেল (অয়েল তারপিন, স্পিরিট তারপিন বা থিনার না), ২ গ্রাম কর্পুর (ন্যাপথালিন গুঁড়াও অনেকে দেন) এ দুইটা জিনিস ১লিটার পানিতে মিশিয়ে গরুর গায়ে স্প্রে করলে মাছি বসবে না।

পুরো খামারে রসুনের স্প্রে করতে পারেন। এটা মশা তাড়াতে খুবই কার্যকারী প্রাকৃতিক উপায়।

মশা-মাছি কর্পূরের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না। একটি ৫০ গ্রামের কর্পূরের ট্যাবলেট একটি ছোট বাটিতে রেখে বাটিটি পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এরপর এটি খামারের কোনায় রেখে দিন। তাৎক্ষণিকভাবেই মশা- মাছি গায়েব হয়ে যাবে। দুই দিন পর পানি পরিবর্তন করে নিন। আগের পানিটুকু ফেলে না দিয়ে ফার্মে ছিটিয়ে দিলে পোকামাকড় ও পিঁপড়ের যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাবেন।

তবে যারা এসব ঝামেলায় যেতে চান না তারা বাজার থেকে মাছি তাড়ানোর ফাঁদ কিনে খামারে ব্যবহার করতে পারেন। 

এসি/  আই.কে.জে

গবাদিপশুর খামার মাছি মুক্ত

খবরটি শেয়ার করুন