রবিবার, ৯ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ১৫ জেলায় নতুন ডিসি *** জাহানারার যৌন হয়রানির অভিযোগ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন *** খালেদ মুহিউদ্দীনের ইংরেজি জ্ঞান নিয়ে উদ্বেগ কেন? *** প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান জানালে আমরা যাব, অন্য দলকে দিয়ে আহ্বান কেন: সালাহউদ্দিন *** দেশের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান কী *** কারও দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয়: তারেক রহমান *** রাজশাহীর প্রশংসা উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের, এড়িয়ে গেলেন নির্বাচন প্রসঙ্গ *** আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে: শফিকুল আলম *** দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর *** আওয়ামী লীগের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাচ্ছে আমেরিকা, ইউরোপ!

অতীতের তিক্ততা ভুলে সৌদি আরবের সঙ্গে বন্ধুত্ব চায় হিজবুল্লাহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:১৪ অপরাহ্ন, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবকে অতীতের বিরোধ ভুলে ‘নতুন অধ্যায়’-এর সূচনা করার আহ্বান জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। গতকাল শুক্রবার (১৯শে সেপ্টেম্বর) লেবাননে ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠীর প্রধান নাঈম কাসেম ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ জোট গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। লেবাননের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কে কয়েক বছরের তীব্র বৈরিতার পর এই আহ্বানটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

২০১৬ সালে সৌদি আরব এবং অন্যান্য উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো শিয়া হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রিয়াদ, ওয়াশিংটন এবং লেবাননের প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলো লেবানন সরকারের ওপর হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। গত বছর ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে হেজবুল্লাহ মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। ওই সময় ইসরায়েলি হামলায় হেজবুল্লাহ শীর্ষ নেতা নিহত হন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার এক টেলিভিশন ভাষণে কাসেম বলেন, আঞ্চলিক শক্তিগুলোর উচিত হেজবুল্লাহ নয়, বরং ইসরায়েলকেই মধ্যপ্রাচ্যের মূল হুমকি হিসেবে দেখা। তিনি রিয়াদের সঙ্গে সম্পর্ক ‘মেরামত’ করারও প্রস্তাব দেন।

কাসেম বলেন, ‘আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে, প্রতিরোধের অস্ত্র (হেজবুল্লাহ) ইসরায়েলি শত্রুর দিকে তাক করা আছে, লেবানন, সৌদি আরব বা বিশ্বের অন্য কোনো স্থান বা সত্তার দিকে নয়।’ তিনি আরও বলেন, এই সংলাপ অতীতের মতবিরোধগুলোকে অন্তত এই ব্যতিক্রমী পর্যায়ে স্থগিত করে দেবে, যাতে আমরা ইসরায়েলের মুখোমুখি হতে এবং তাকে দমন করতে পারি। তিনি সতর্ক করে বলেন, হিজবুল্লাহর ওপর চাপ প্রয়োগ করা ‘ইসরায়েলকেই সুবিধা দেবে।’

সৌদি আরব একসময় লেবাননে বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিল, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অর্থ জমা করেছিল এবং ২০০৬ সালে হেজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের পর দক্ষিণাঞ্চল পুনর্গঠনে সহায়তা করেছিল। কিন্তু ইরানের সহায়তায় হিজবুল্লাহ লেবানন ও এই অঞ্চলে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠলে সম্পর্ক তিক্ত হয়।

২০২১ সালে সুন্নিপ্রধান সৌদি আরব লেবাননের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে এবং নিজেদের দূতকে ফিরিয়ে নেয়। সেই সময় সৌদি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, হেজবুল্লাহ লেবানন রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করছে। হিজবুল্লাহর তৎকালীন মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহ সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং ইয়েমেনে সৌদি আরবের ভূমিকার বারবার সমালোচনা করেছেন।

তবে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই অঞ্চলে ব্যাপক রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে। গত বছর ইসরায়েল হিজবুল্লাহকে মারাত্মক আঘাত করে এবং নাসরুল্লাহকে হত্যা করে। এ ছাড়া, ডিসেম্বরে হিজবুল্লাহর সিরীয় মিত্র বাশার আল-আসাদের পতন ঘটে।

জে.এস/

হিজবুল্লাহ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250