ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীতে খ্রিস্টানদের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও একটি স্কুল প্রাঙ্গণে পৃথক ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৭ই নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে রমনা এলাকায় সেন্ট মেরি'স ক্যাথেড্রাল চার্চের গেটের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।
গির্জা প্রাঙ্গণেও আরেকটি ককটেল ছোড়া হয়েছিল, তবে সেটি বিস্ফোরিত হয়নি। পরে পুলিশ এসে অবিস্ফোরিত ককটেলটি উদ্ধার করে।
এরপর রাত ৩টার দিকে মোহাম্মদপুরে সেন্ট জোসেফ স্কুল ও কলেজের পাদ্রি ও শিক্ষকদের বাসভবনের সামনে আরও দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেন্ট জোসেফের ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিক আহমেদ শনিবার (৮ই নভেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে রমনা থানা সূত্র জানায়, সেন্ট মেরি'স ক্যাথেড্রালের ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা বা জিডি হয়নি।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জনসংযোগ প্ল্যাটফর্ম 'অ্যানোনিমাস পিআরসিএম'-এর পরিকল্পক অপু প্লাসিড গণমাধ্যমকে বলেন, 'জুবিলি আমাদের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য একটি অনেক বড় আয়োজন। এই আয়োজনকে পণ্ড করতেই হয়তো আগের রাতে ককটেল হামলা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'একই রাতে খ্রিস্টান যাজকদের বাসভবনকে লক্ষ্য করে হামলা। স্বাভাবিকভাবেই সারাদেশের খ্রিস্টানরা একরকম আতঙ্কের মধ্যে আছেন।'
এর আগে চলতি বছরের ৮ই অক্টোবর তেজগাঁওয়ের হোলি রোজারি গির্জায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন জানান, ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ককটেল হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে খ্রিষ্টান এসোসিয়েশন (বিসিএ)। এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘটনাগুলোকে 'অত্যন্ত উদ্বেগজনক' বলে উল্লেখ করেছেন সংগঠনটির সভাপতি নির্মল রোজারিও ও মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া।
তারা বলেন, 'অল্প সময়ের ব্যবধানে দেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ গির্জায় ককটেল নিক্ষেপের ঘটনাকে কোনোভাবেই হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। এটি ধর্মীয় সম্প্রীতির ওপর সরাসরি আঘাত।'
হামলার পরও শনিবার সারাদেশের খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণে সেন্ট মেরি'স প্রাঙ্গণে জুবিলি উদযাপিত হয়।
খবরটি শেয়ার করুন