সোমবার, ১লা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিয়া সিডের উপকারিতা ও অপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৪১ অপরাহ্ন, ২২শে জুন ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

চিয়া সিডকে বলা হয় সুপারফুড। প্রাচীনকাল থেকেই এটি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। দুধ ডিমের থেকেও চিয়া সিডে বেশি প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে বলেই জানা যায়। তবে এর যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন রয়েছে অপকারিতাও। চলুন জানা যাক চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা-

চিয়া সিড কী?

চিয়া সিড একটি গাছের বীজ। শস্য জাতীয় উদ্ভিদ যা মরুভূমিতেই বেশি জন্মায়। জানা যায়, প্রাচীন অ্যাজটেক জাতির প্রধান খাদ্য তালিকায় এটি রাখা হতো। চিয়া সিড দেখতে অনেকটা তিলের দানার মতো। আমেরিকা ও মেক্সিকোতে চিয়া নামে এক ধরনের গাছ হয়। এই গাছের বীজকেই চিয়া সিড বলে।

একনজরে চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা

চিয়া সিডে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এতে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, পালংশাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন, কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম, মুরগির ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি প্রোটিন, স্যামন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩ রয়েছে।

এতে আরও রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ।

আরো পড়ুন : হাঁটুর ব্যথার মহৌষধ ঢ্যাঁড়স, জানুন আর আছে কী কী গুণ?

চিয়া সিড এর উপকারিতা

১. পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, চিয়া সিডে রয়েছে ওমেগা-৩ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।

২. ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করতে কাজ করে এই বীজ।

৩. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

৪. মেটাবলিক সিস্টেমকে উন্নত করে ওজন কমাতে সহায়তা করে।

৫. ডায়বেটিসের ঝুঁকিও কমে যায় এই বীজ খেলে।

৬. চিয়া সিড কোলন পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে তাই কোলন ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে।

৭. এটিতে অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে যায়।

চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম

পানিতে ভিজিয়ে সহজেই খাওয়া যায় চিয়া সিড। চাইলে ওটস, পুডিং, জুস, স্মুথি ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়েও খেয়ে নেয়া যায়। এ ছাড়া কেউ চাইলে টকদই, সিরিয়াল, রান্না করা সবজি বা সালাদের ওপরে ছড়িয়েও খেতে পারেন। স্বাভাবিক পানি কিংবা হালকা কুসুম গরম পানিতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন চিয়া সিড। এরপর সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। আবার ঘুমানোর আগেও এটি খাওয়া যায়।

চিয়া সিড এর অপকারিতা

১. গবেষণায় জানা গেছে, চিয়া সিড প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সারকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই ভালোর কথা ভেবে বেশি বেশি না খেয়ে এটি সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত।

২. পরিমাণের থেকে বেশি খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।

৩. অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে, এটি খারাপ হতে পারে।

সব জিনিসেরই ভালো-খারাপ থাকে। চিয়া সিডে ভালোর পরিমাণ বেশি হলেও কিছুটা খারাপ প্রভাবও দেখা যায় মাঝে মাঝে। এটা ব্যবহারের উপরও নির্ভর করে।

এস/ আই.কে.জে/
 

চিয়া সিড

খবরটি শেয়ার করুন