বুধবার (২২শে জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চালের দামে অস্থিরতা কমেছে দাবি করে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, বাজারে চাল ও গমের মজুত পরিস্থিতি ভালো। এরপরও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে খাদ্য মজুত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। তাহলে ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিতে পারবে না বলে মনে করেন তিনি।
১৩ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম মজুত রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে ৮ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন চাল, আর গম ৩ লাখ ৪১ হাজার টন। এরপরও চাল ও গম মিলিয়ে ১০ লাখ টন আমদানি করা হচ্ছে। এর মধ্যে গম ৩ লাখ টন, যা রাশিয়া ও ভারত থেকে আমদানি হবে। এ ছাড়া ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকেও আমদানি করা হচ্ছে।
চালের দাম এখন কেজিপ্রতি ৬০ টাকার মতো, দাম আগের চেয়ে ক্রমান্বয়ে কমছে বলে দাবি আলী ইমাম মজুমদারের। তিনি বলেন, মোটা চালসহ মধ্যবিত্তের চালের দাম কমানোর চেষ্টা করা হবে। এখন চালের যে দাম, তা আরও কমানো যেতে পারে বলে মনে করেন খাদ্য উপদেষ্টা।
এর আগে ১৬ই জানুয়ারি সরকারি খাদ্য মজুত বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে ৫০ হাজার টন আতপ চাল জিটুজি পদ্ধতিতে পাকিস্তান থেকে আমদানির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠানো হয়। বাংলাদেশের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে পাকিস্তান চাল সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করে। পরে দুদেশ আলাপের মাধ্যমে প্রতি টন চাল ৪৯৯ ডলার নির্ধারণ করা হয়।
একই উদ্দেশ্যে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ছয়টি দরপত্র জমা পড়ে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ভারতের মেসার্স গুরুদিও এক্সপোর্টস করপোরেশনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রতি টন ৪৫৪ দশমিক ১৪ ডলার হিসাবে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার ডলার সমপরিমাণ ২৭৭ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও চাল আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর আওতায় ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকে চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ওআ/কেবি