বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে তথ্য দিন, ১৫ মিনিটে সেবা দিতে প্রস্তুত : তাপস

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, ১১ই জুন ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে ঢাকাবাসীকে এডিস মশার প্রজননস্থল সম্পর্কিত এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনদেরকে রোগীর সঠিক ও যথাযথ তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। প্রয়োজনীয় তথ্য দিলে ১৫ মিনিটে সংশ্লিষ্ট সেবা দিতে পর্যাপ্ত  প্রস্তুতি রয়েছে বলে এ সময় তিনি জানান। 

রোববার (১০ই জুন) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার 'সকল সরকারি হাসপাতালে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন' কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাদসিক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এসব কথা বলেন। 

মেয়র বলেন, এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস ও ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে আমাদের মশককর্মী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নিয়ে আমরা যৌথ অভিযান পরিচালনা করছি। আমরা যেমন পরিষ্কার করে দিব তেমনি মশার লার্ভাও ধ্বংস করব। লার্ভা ধ্বংস করার মাধ্যমেই কিন্তু আমরা এডিস মশার বিস্তার পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। সেজন্য আমি সকলকে আহবান করব, আপনারা আমাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। তথ্য পাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে সেবা দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।

মশক নিধনে সকলকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, মশক নিধনে আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ কাজ মাঠ পর্যায়ে আমাদের পর্যাপ্ত মানসম্পন্ন কীটনাশক, সরঞ্জামাদি ও জনবল রয়েছে। কিন্তু বাড়ির আঙ্গিনা, ছাদ ও চারপাশে যদি মশার প্রজননস্থল সৃষ্টি হয় সে সম্পর্কিত তথ্য আমাদের সরবরাহ করার নিবেদন রইলো। আমরা যত বেশি তথ্য পাবো মাঠ পর্যায়ে আমাদের কার্যক্রম আরো বেশি কার্যকর হবে। আমরা মশক নিধন কার্যক্রম আরো বেশি ফলপ্রসূ করতে পারব। 

আজকে উপস্থিত সাংবাদিক ভাই-বোনেরা আপনারা দেখেছেন, এখানে অভ্যন্তরীণ যে নর্দমা রয়েছে তাতে পানি প্রবাহ না থাকার কারণে পানি জমে আছে, এতে এডিস মশার উৎস তৈরি হয়। আবার সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় পরিত্যক্ত মালামালও রেখে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেও কিন্তু উৎস সৃষ্টি হয়। তাই সবাইকে 'নিয়মিত প্রতিদিন জমা পানি ফেলে দিন' এই প্রতিপাদ্য মানার অনুরোধ করছি। 

অনুষ্ঠানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যে কোনো রোগের ক্ষেত্রে আমরা যদি তা প্রতিরোধ করতে পারি তাহলে এতে খরচ কম হয়, দুর্ভোগ কম হয়। ডেঙ্গু রোগেও সেটা প্রযোজ্য। এটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ। আর ভাইরাসের কোনো ওষুধ নেই। আমরা সিম্পমেটিক ট্রিটমেন্ট দিয়ে থাকি। কাজেই আমি সবাইকে অনুরোধ করব যেন ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে আমরা সজাগ থাকি।

আরো পড়ুন: রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর সাক্ষাৎ

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নারগিস মাহতাবসহ করপোরেশন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

এসি/ আই.কে.জে/

তাপস ডেঙ্গু রোগ

খবরটি শেয়ার করুন