ছবি : সংগৃহীত
কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা কমে শীত জেঁকে বসায় ও ঘনকুয়াশার কারণে থমকে গেছে জেলার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে বিভিন্ন এলাকা।
রোববার (৮ই ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত ১৫ দিন ধরে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ১২-১৬ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করছে। যা আগামী কয়েকদিনে আরও কমার সম্ভাবনা আছে।
এদিকে, শীত জেঁকে বসায় গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে পড়েছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে হিমেল বাতাসে দ্রুত কমতে থাকে তাপমাত্রা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা তীব্র হতে থাকে।
আরো পড়ুন : বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস
অন্যদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে বোরো বীজতলাগুলোয় কিছুটা ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এছাড়া আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের কৃষক তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমি বোরো বীজতলা করেছি। যেভাবে কুয়াশা ও ঠান্ডা পড়ছে তাতে ক্ষতির আশঙ্কা করছি। বীজতলার মাথা কুঁকড়ে যাচ্ছে। ঠান্ডায় বীজতলা নিয়ে টেনশনে আছি।
ওই ইউনিয়নের আব্দুল রাজ্জাক গণমাধ্যমকে বলেন, বেশকিছু দিন ধরে খুব কুয়াশা ও ঠান্ডা। সকালে কাজে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কাজে না গিয়ে তো উপায় নেই, কাজ না করলে তো আর সংসার চলে না। যতই কুয়াশা হোক না কেন আমাদের কাজ করাই লাগে।
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন