শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তদন্তে গিয়ে ধর্ষণ, পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৮:১৬ অপরাহ্ন, ৩০শে মে ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের ছাতকে কর্মরত থাকতে একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এক নারীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। পরে ভুক্তভোগী নারী আদালতে মামলা করলে চাকরি খোয়ান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (৩০শে মে) প্রায় ১২ বছর মামলার বিচারকাজ শেষে ওই মামলার রায়ে আজিজুল ইসলাম চৌধুরীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) রোকনুজ্জামান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের এই আদেশ দেন।

এজাহারে নির্যাতিত ওই মহিলা উল্লেখ করেন, আমার পৈতৃক জায়গা জমির বিরোধ নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম চৌধুরী। সেই সুবাদে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন সময় একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে পুলিশ কর্মকর্তা আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করলে আমি অসহায় বোধ করি।

আরো পড়ুন: র‍্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২০১১ সালের ৯ই মে দারোগা আজিজ আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে বলেন, আমি যেন তাকে ভুলে যাই। পরে ২০১১ সালের ১২ই মে সিলেট উপমহাপরিদর্শক (সিলেট পুলিশ রেঞ্জ) বরাবরে দরখাস্ত করি। ২০১২ সালে ৯ই মে আইজিপি বরাবর দরখাস্ত দেই। এই ঘটনায় ছাতক থানায় ২০১২ সালের ৮ই আগস্ট অভিযোগ দায়ের করি, কিন্তু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকদ্দমা এফআইআর না করায় ন্যায়বিচারের জন্য আদালতের স্মরণাপন্ন হই।

ওই নারী ২০১২ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন। মামলার পর আজিজুর রহমানকে প্রথমে সাময়িক ও পরে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়। মামলার বিচারকাজ বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক। রায়ের পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পিপি নান্টু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) রুকনুজ্জামান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

এইচআ/  

পুলিশ ধর্ষণ

খবরটি শেয়ার করুন