ছবি: সংগৃহীত
আজ আমাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানাব ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এ পরিপূর্ণ কলমি শাক চাষের পদ্ধতি।
অ্যানিমিয়া রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং বসন্ত রোগের প্রতিষেধক কলমি শাক কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চাষ করা যায়-
প্রথমে একটি টব নিয়ে তাতে বেলে মাটি, গোবর সার এবং খোল গুঁড়ো একত্রে মিশিয়ে উপযুক্ত মাটি তৈরি করে ফেলতে হবে। এরপর এক রাত ধরে ভিজিয়ে রাখা কলমি শাকের বীজগুলিকে পরের দিন সকালে মাটির মধ্যে পুঁতে দিতে হবে। বীজগুলো পোতা হয়ে গেলে তার ওপর ভালোভাবে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং চার পাঁচ দিন ধরে নিয়মিত জল দেওয়ার পর অবশেষে চারাগাছ জন্ম নেবে।
আরো পড়ুন: খাঁচা পদ্ধতিতে মৌমাছির মাধ্যমে মধু সংগ্রহে লাভবান চাষিরা
সম্পূর্ণরূপে যথাযথ পরিচর্যা এবং নিয়মিত জল দেওয়ার মধ্যে থাকলে মাত্র কুড়ি থেকে পঁচিশ দিনের মধ্যে টব ভর্তি কলমি শাকের ফলন দেখা যেতে লাগবে।
জানিয়ে রাখা ভালো, ফাইবারে ভরপুর এই শাকটি খাদ্য হজম এবং পরিপাক করতে সাহায্য করে। বিশেষত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূরীকরণে কলমি শাকের জুড়ি মেলা ভার। এছাড়াও চোখ ভালো রাখতে, হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে, শক্তি বৃদ্ধিতে এবং রাতকানা রোগের দূরীকরণে কলমি শাকের ভূমিকা অপরিহার্য। এছাড়া সন্তান জন্ম দেওয়ার পর যে সকল মেয়েরা বুকের দুধের স্বল্পতায় ভোগে তাদের জন্য দারুণ উপকারী এই কলমি শাক।
এসি/ আই.কে.জে