শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫৯৫ টাকায় মাংস কিনতে খলিলের দোকানে ক্রেতাদের লম্বা লাইন

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, ১৬ই মার্চ ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা থেকে ৭৮০ টাকায়। সেখানে রমজান মাস উপলক্ষ্যে মাত্র ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করছেন রাজধানীর আলোচিত ব্যবসায়ী খলিল। ফলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বাজারে কম দামে মাংস কিনতে ক্রেতাদের লম্বা লাইন লেগেছে রাজধানীর শাহজাহানপুরের খলিল গোস্ত বিতানে।

শনিবার (১৬ই মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজাহানপুরে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে কথা হয় আলোচিত ব্যবসায়ী খলিলের সঙ্গে। 

খলিল বলেন, কম দামে মাংস বিক্রি করতে গিয়ে তিনি লোকসানে পড়ছেন। কিন্তু রমজান উপলক্ষ্যে লোকসান দিয়ে মাংস বিক্রি করে যাবেন। গতকাল শুক্রবার ৫০টি গরু বিক্রি হয়েছে।

তিনি বলেন, আজ ইফতারের আগ পর্যন্ত মাংস বিক্রি হবে। ৩৫টি গরুর মাংস বিক্রির পরে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। আগামী ২০ রমজান পর্যন্ত কম দামে বিক্রি চলবে। তারপর আর বিক্রি করার পরিকল্পনা নেই।

তার মাংসের দোকানে ৪০ জন কর্মচারী কাজ করছেন বলেও উল্লেখ করে খলিল বলেন, রমজানের পরে আগের দামে ৬৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হবে।

কম দামে গরুর মাংস ক্রয় করতে সকাল থেকে খলিলের মাংসের দোকানে ভিড় জমায় সাধারণ মানুষ। আজও মাংস ক্রয় করতে শতাধিক মানুষের ভিড় দেখা যায়।

মো. আব্দুল মতিন নামে এক ক্রেতা বলেন, আমাদের মতো মধ্যবিত্তের পক্ষে ৮০০ টাকা দিয়ে মাংস কিনে খাওয়া প্রায় অসম্ভব। সেখানে এই ব্যবসায়ী দাম কমানোর কারণে পরিবারকে মাসে ২-৩ দিন গরুর মাংস খাওয়াতে পারি।

তিনি বলেন, ৬৯৫ টাকায় আমি এখান থেকে গরুর মাংস ক্রয় করেছি। তখন দেখেছি মাংসের মান ভালো ছিল। এখন রমজান উপলক্ষ্যে আরও ১০০ টাকা কমিয়ে ৫৯৫ টাকা করা হয়েছে। এখন মাংসের মান কেমন সেটা বলতে পারছি না। 

আরও পড়ুন: অভিযানের খবরে দোকান রেখে পালালেন ফল ব্যবসায়ী

মোহাম্মদ হোসেন নামে আরেক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, খলিল যদি কম দামে মাংস বিক্রি করতে পারে, অন্য ব্যবসায়ীরা কেন দাম কমাতে পারছে না? সেটা সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের মতো বয়স্ক মানুষের পক্ষে এইভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে মাংস ক্রয় করা তো কষ্টকর। এখন সব জায়গায় যদি এই দামে (৫৯৫ টাকায়) মাংস বিক্রি হতো তাহলে তো এতো লম্বা লাইন হতো না।

তিনি আরও বলেন, দাম যেহেতু কম, তাই মাংসের মানও কিছুটা কম হতে পারে। এতে দোষের কি আছে।

এদিকে খলিল শুধু গরুর মাংস নয় খাসির মাংসও বিক্রি করছেন। তবে, গরুর মাংস কেনার জন্য ক্রেতাদের যে লম্বা লাইন সেটি নেই খাসির মাংস ক্রয় করার জন্য। কারণ গরুর মাংসের তুলনায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস। 

দোকানের এক কর্মচারী জানান, এগারো শত টাকায় খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে। সেখানে প্রায় অর্ধেক দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। তাই খাসির দোকানে ক্রেতাদের ভিড় নেই।

এসকে/ 

মাংস ব্যবসায়ী খলিল ৫৯৫ টাকায় মাংস

খবরটি শেয়ার করুন