'পেনশন, কোটাব্যবস্থাসহ অন্যদের বিভিন্ন আন্দোলনে যুক্ত হয়ে রাজনীতিতে বিএনপি পরজীবী হয়ে গেছে' বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৪ঠা জুলাই) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাপ্তাহিক গণবাংলা ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারসাম্যের পররাষ্ট্রনীতি ও দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আন্দোলনের গতি হারিয়ে বিএনপি এখন পরজীবী দল হয়ে গেছে। তারা এখন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ভর করে, শিক্ষকদের আন্দোলনে ভর করে। নিজেরা আন্দোলন করার ক্ষমতা হারিয়ে পরাশ্রিত আন্দোলন করছে। আর বিএনপিতে এখন "তারেক ভূত আতংক" বিরাজ করছে। দলটির কর্মীরা এখন আতংকে থাকে, সকালবেলা উঠে দেখবে কি না যে পদ চলে গেছে!'
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ-স্পেনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি 'কারো সাথে বৈরিতা নয়, সবার সাথে বন্ধুত্ব' উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, আমাদের সাথে যেমন ভারতের চমৎকার সম্পর্ক, তেমনি চীনের সাথেও সুসম্পর্ক। আমাদের সাথে রাশিয়ার যেমন চমৎকার সম্পর্ক, তেমনি আমেরিকার সাথেও সুসম্পর্ক।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবার সাথে বন্ধুত্ব রেখে এগিয়ে যাওয়া দুরূহ বিষয়, সহজ নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কারো সাথে বৈরিতা নয়, সবার সাথে বন্ধুত্ব এই নীতিতে এগিয়ে চলেছেন।
প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে রেল ও সড়ক যোগাযোগ নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপে কোনো সীমান্ত চৌকি নেই। সেখানে কি দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে গেছে? আমরা কানেক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য ভারতের সাথে বিভিন্ন সমঝোতা করেছি। নেপালের সাথেও কানেক্টিভিটি হবে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সাথেও অর্থাৎ আমরা 'রিজিওনাল কানেক্টিভিটি' বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।
সরকারি চাকুরিতে কোটাব্যবস্থা পুণর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ছাত্রছাত্রীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়েই সরকার কোটা ব্যবস্থা বাতিল করেছিল। এটি হয়েছিল আদালতের মাধ্যমে। যেহেতু শিক্ষামন্ত্রীসহ দায়িত্বশীলরা বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন, আশা করি এর একটি সুন্দর সমাধান আসবে।
এইচআ/