রবিবার, ৯ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** খালেদ মুহিউদ্দীনের ইংরেজি জ্ঞান নিয়ে উদ্বেগ কেন? *** প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান জানালে আমরা যাব, অন্য দলকে দিয়ে আহ্বান কেন: সালাহউদ্দিন *** দেশের ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান কী *** কারও দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয়: তারেক রহমান *** রাজশাহীর প্রশংসা উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের, এড়িয়ে গেলেন নির্বাচন প্রসঙ্গ *** আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে: শফিকুল আলম *** দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর *** আওয়ামী লীগের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাচ্ছে আমেরিকা, ইউরোপ! *** ভারতের মথ ডাল এ দেশে এসে মুগ ডাল হয়ে যাচ্ছে কেন *** জাহানারা ইমামের ব্যক্তিগত বই কেজি দরে বিক্রি করেছে বাংলা একাডেমি

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সফর : শ্রমবাজারের বন্ধ দরজা খোলার সম্ভাবনা

উপ-সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০১:১৪ অপরাহ্ন, ৭ই অক্টোবর ২০২৪

#

ছবি - সংগৃহীত

বাংলাদেশের বৈদেশিক আয়ের প্রধান উৎস জনশক্তি রপ্তানি। দেশের রিজার্ভ বৃদ্ধিতে প্রবাসী আয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একসময় বাংলাদেশের অধিবাসীদের অন্যতম আকর্ষণের জায়গা ছিল মালয়েশিয়া।

১৯৮৯ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের কর্মীরা মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন। এখনও প্রায় আট লাখ বৈধ কর্মী মালয়েশিয়ার বিভিন্ন পেশায় কর্মরত আছেন। এছাড়া আরো দুই লাখের মতো কর্মী অবৈধভাবে অবস্থান করছেন। যারা পর্যটন কিংবা অন্য কোনো ভিসায় গিয়ে অবৈধ ওয়ার্ক পারমিটে কাজ করছেন। দালাল সিন্ডিকেটের কারণে মালয়েশিয়ায় কাজ করতে যাওয়া অনেক শ্রমিক প্রতারণার শিকার হয়েছেন। গত ৩১শে মে মালয়েশিয়া সরকার এক সিদ্ধান্তে বাংলাদেশসহ আরো ১৪টি দেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ করেছে। তখন বাংলাদেশের ১৮ হাজার কর্মী উড়োজাহাজ  ও নিয়োগকর্তার নথি জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়া যেতে পারেননি।

গত ৪ঠা অক্টোবর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে খুব অল্প সময়ের জন্য ঢাকা সফর করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। বর্তমান সরকারের সময়ে এটিই বিদেশি কোনো সরকার প্রধানের প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। দুই সরকার প্রধানের বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, রাজনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, শ্রম অভিবাসন, শিক্ষা, প্রযুক্তি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল গত মে মাসে সময় স্বল্পতার কারণে যে ১৮ হাজার কর্মী আটকে ছিল সেই সমস্যাটি আলোচিত হয়েছে। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, বিমানের টিকিট স্বল্পতাসহ সংকটময় পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ে যারা মালয়েশিয়া ঢুকতে পারেননি, তার সরকার সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে প্রথম ধাপে ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিকের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের বিষয়ে অবিলম্বে মনোযোগ দেবে।

অতীতে বিভিন্ন অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের কারণে প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালের আগস্টে শ্রমবাজার খুলে যায়। মালয়েশিয়ার সাথে শ্রম বাজার নিয়ে যেসব জটিলতা তৈরি হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সফরের মধ্যদিয়ে সেই জট খোলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ বাজার যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে সরকারকেও বিশেষ নজর দিতে হবে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য শ্রমবাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে রিজার্ভ সংকটের সময় শ্রম বাজারের গুরুত্ব আরো বেড়েছে। এমন সময় যদি মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার উন্মুক্ত হয় তাহলে দেশের জন্য অত্যন্ত মঙ্গলজনক।

আই.কে.জে/

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সফর

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250