প্রতীকী ছবি
সিঙ্গাপুরের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আগামী জানুয়ারি থেকে স্মার্টফোন ও স্মার্টওয়াচের ব্যবহার আরও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। ডিজিটাল মাধ্যমে বিধিনিষেধের আন্তর্জাতিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে এটা করা হচ্ছে। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছে। খবর এএফপির।
বিশ্বের যেসব দেশের মানুষ ডিজিটাল মাধ্যমের সঙ্গে ব্যাপকভাবে যুক্ত, সিঙ্গাপুর তাদের অন্যতম। দেশটির বর্তমান আইন অনুযায়ী, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদানের সময় শিক্ষার্থীদের ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ। নতুন নিয়মে তা পাঠদানের সময়ের বাইরেও কার্যকর হবে। অর্থাৎ, জানুয়ারি থেকে স্কুল প্রাঙ্গণে ঢোকার পর স্মার্টফোন ও স্মার্টওয়াচ লকার বা স্কুলব্যাগের মতো নির্দিষ্ট স্থানে রাখা শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক।
নতুন নিয়মের উদ্দেশ্য সম্পর্কে মন্ত্রণালয় বলেছে, এমন একটি শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা, যা শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বৃদ্ধি করবে, স্ক্রিন (স্মার্টফোন) ব্যবহারের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলবে এবং সার্বিক সুস্থতা বাড়াবে। তারা আরও বলেছে, শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত স্ক্রিন ব্যবহার ঘুম, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগের মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
তবে মন্ত্রণালয় মনে করে, প্রয়োজনে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ব্যবহার অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সম্প্রতি একই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইউনেসকোর তথ্যমতে, বিশ্বের ৪০ শতাংশ শিক্ষাব্যবস্থায় স্কুলে এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। আগামী সপ্তাহ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা চালু হবে। বিশ্বে এ ধরনের সিদ্ধান্ত এটাই প্রথম।
ইউনেসকোর ওয়েবসাইটে স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহারের কড়াকড়ির কিছু উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে। যেমন চীনের ঝেংঝৌ শহরের স্কুলে শিক্ষাগত কারণে শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য মা-বাবার লিখিত অনুমতি দরকার।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন