সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাত দফা দাবির বাস্তবায়ন চান সরকারি কর্মচারীরা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, ১০ই মে ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

রেশনিং পদ্ধতি চালু ও বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সরকারি কর্মচারীরা।শুক্রবার (১০ই মে) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ। 

মানববন্ধনে সরকারি কর্মচারীরা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পরিবার চালাতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আপনি এদেশের অনেক উন্নয়ন করেছেন। আপনি এদেশে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেলসহ অনেক বড় বড় কাজ করেছেন। আপনার কাছে একটাই দাবি সেটি হলো, সচিবালয়ের ন্যায় যারা বাইরে কর্মরত আছি আমাদের পদন্নোতির ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।' বর্তমান সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাড়ি ভাড়া, রেশনিং পদ্ধতি চালু, চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষা সহায়ক ভাতা ও টিফিন প্রদানের জন্যও অনুরোধ জানান তারা। 

আরো পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল : যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী

কর্মচারীদের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে পে-কমিশন গঠন পূর্বক বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করা, রেশনিং পদ্ধতি চালু এবং ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখা, সচিবালয়ের ন্যায় সব দপ্তর, অধিদপ্তর ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের পদ ও পদবী পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ণ করা, টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পুণর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহাল এবং সব স্বায়তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচ্যুইটির পাশাপাশি পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচুইটি বা আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের স্থলে ১০০ শতাংশ নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ। আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিলপূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করা।

এছাড়া ব্লক পোষ্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করা, অধস্তন আদালতের কর্মচারীদের বিচার বিভাগীয় কর্মচারী হিসেবে গণ্য করা, টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের টেকনিক্যাল পদ মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানানো হয়। 

বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক সব ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ করে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়স সীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করার দাবি জানান তারা।

এইচআ/  আই.কে.জে/

মানববন্ধন সাত দফা দাবি

খবরটি শেয়ার করুন