সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রচণ্ড খরা থেকে রেহাই পেতে পাবনায় নামাজ আদায়

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, ২৪শে এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র দাবদাহ, সঙ্গে কড়া রোদ আর অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ পাবনাসহ এই অঞ্চলের মানুষ। অনাবৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে আম, লিচুসহ নানা ফল ও ফসল। পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চেয়ে পাবনা জেলা শহরেরর টার্মিনাল এলাকার দারুল আমান ট্রাস্টের ক্যাম্পাসে খোলা আকাশের নিচে বুধবার (২৪শে এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন পাবনাবাসী।

নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরা থেকে রেহাই পেতে মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পাবনা ইসলামীয়া ফাজিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক ও মসজিদে আত তাকওয়ার পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুস শাকুর।

নামাজ ও দোয়ায় ছাত্র, যুবকসহ শহরের আশপাশের শতশত ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন। তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতে মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ফেলতে ফেলতে তওবা ও ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। এসময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ প্রার্থনা করা হয়।

আরো পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে দেখা মিলল মাত্র ১৪ ইঞ্চি উচ্চতার ছাগল!

নামাজের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বয়ানে আব্দুস শাকুর গণমাধ্যমকে বলেন, পৃথিবীর মাটি যখন শুকিয়ে যায় বা অনাবৃষ্টি ও খরা দেখা দেয় এবং কূপ ও ঝরনার পানি কমে যায় অথবা নদী শুকিয়ে যায় তখন ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। খোলা মাঠে জামায়াতের সঙ্গে এই নামাজ আদায় করতে হয়। এই নামাজে কোনো আজান বা ইকামত নেই। আসমান ও জমিনে যেসব বিপদ ও দুর্যোগ এসে থাকে সেগুলো মানুষের হাতের কামাই। সেজন্য আমাদের আল্লাহমুখী হতে হবে। আল্লাহকে ভয় করতে হবে। যাবতীয় পাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।

 এইচআ/  

তীব্র দাবদাহ ইসতিসকার নামাজ

খবরটি শেয়ার করুন