ছবি: সংগৃহীত
প্রথমবারের মতো শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনের নদীতে অবমুক্ত করা হলো দুটি কুমির। গতকাল বুধবার দুপুর ও রাতে সুন্দরবনের ভদ্রা নদীতে লোনা পানির কুমির দুটিকে অবমুক্ত করা হয়।
বন বিভাগ বলছে, কুমিরের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে জানতে পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে নদীতে অবমুক্তের ঘটনা এশিয়ায় এই প্রথম। এর মাধ্যমে সুন্দরবনের নদীতে কুমিরের চলাচল ও অবমুক্ত করা কুমিরের বেঁচে থাকা সম্পর্কে জানা যাবে।
শ্রীলঙ্কার কুমির বিশেষজ্ঞ ডা. রু সোমবীরা ও অষ্ট্রেলিয়ার কুমির বিশেষজ্ঞ ডা. পল বন বিভাগ এবং আইইউসিএনের সহযোগিতায় এই কাজটি সম্পন্ন হয়।
বুধবার (১৩ই মার্চ) বিকালে তারা করমজলের কুমির জুলিয়েট ও যশোরের মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত স্ত্রী কুমির মধুকে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার ডিভাইস সেট করে সুন্দরবনের ভদ্রা নদীতে অবমুক্ত করেন।
আরো পড়ুন: আমেরিকায় টিকটক নিষিদ্ধে বিল পাস
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নুরুল করিম, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহাসিন হোসেন, বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, আইইউসিএনের কান্ট্রি ডিরেক্টর সরোয়ার আলম দীপু, মৎস্য বিশেষজ্ঞ মফিজুর রহমান, করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীর।
করমজল বন্য প্রাণী কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীর বলেন, এশিয়ায় এই প্রথম কুমিরের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনের নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কুমিরের চলাচল ও যে সব কুমির নদীতে অবমুক্ত রয়েছে তাদের সারভাইভাল রেট জানা যাবে।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে বাটাগুর বাসকা নামে বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার যুক্ত সুন্দরবনের বাংলাদেশ ও ভারত অংশে অবমুক্ত করা হয়। মূলত প্রাণীর জীবনাচার সম্পর্কে গবেষণার অংশ হিসেবেই শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার যুক্ত করা হয়।
এসি/