সোমবার, ১লা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, ২৩শে মে ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

১ম ও ২য় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সকল কোটা পুনর্বহালের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৩ শে মে) সকাল ১১টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে  মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, কেন্দ্রীয় কমিটি। 

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলে শাহবাগ মোড়ে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। পরে সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে দপ্তর সমন্বয়ক মুহাম্মদ নূর আলম সরদার উক্ত স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছে দেন।

এর আগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, "মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড দীর্ঘদিন যাবত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় অন্যায়ভাবে বাতিল হওয়া ১ম ও ২য় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সকল কোটা পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।

সংবিধান অনুযায়ী বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, নারী কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা, জেলা কোটা ও আদিবাসী কোটা পুনর্বহাল করতে হবে। সামাজিক সমতা নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই সাংবিধানিক অধিকার কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে হবে। 

আরো পড়ুন: ঢাকা বোর্ডের ১ লাখ ৭৯ খাতা চ্যালেঞ্জ

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, "সংবিধান ২৯ (৩) ক অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সমাজের যেকোন পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য রাষ্ট্র বিশেষ বিধান প্রবর্তন করতে পারবে। নারী, আদিবাসী, প্রতিবন্ধী, পিছিয়ে থাকা জেলাসমূহের শিক্ষার্থীদের জন্য জেলা কোটা পুনর্বহাল করার মাধ্যমে চাকরিতে বৈষম্য দূর করে সকলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।

সমাবেশে ঘোষিত ছয় (৬) দফা দাবিসমূহ হচ্ছে-

১। ১ম ও ২য় শ্রেণীর সরকারী চাকুরিতে বাতিল হওয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সকল কোটা পুনর্বহাল করতে হবে।

২। স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের তালিকা দ্রুত প্রকাশ করে তাদের পরিবারের সকলের নাগরিকত্ব বাতিল ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের অনুকূলে ফেরত নিতে হবে।

৩। বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের ওপর হামলা, মামলা, হত্যা ও নির্যাতন বন্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার নির্যাতন প্রতিরোধ সেল ও বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।

৪। সংবিধানে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শব্দসমূহ সংযোজন করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে।

৫। অবিলম্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের অধিকার আদায়ের প্লাটফর্ম মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করতে হবে।

৬। দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশপূর্বক ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে গুজব সৃষ্টি ও ঢাবি ভিসির বাসায় হামলাকারী এবং উসকানিদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। 

এইচআ/এনএম/ 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধা কোটা

খবরটি শেয়ার করুন