ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ছুরিকাঘাতে আরিফুল ইসলাম (৩৬) নামের এক যুবক খুন হয়েছেন। দুই বছর আগে ভাড়া না দেওয়া নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে এক অটোরিকশার চালক তাকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত অটোচালক আসাদুল্লাহকে (৩৫) বাড়ি থেকে ধরে এনে স্থানীয় লোকজন কির্ত্তুনিয়া ইছব আলী ভূঁইয়া উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আজ রোববার (২০শে জুলাই) দুপুরে উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের কির্ত্তুনিয়া ইছব আলী ভূঁইয়া উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আরিফুল ইসলাম কির্ত্তুনিয়া গ্রামের মৃত মালেক ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি কির্ত্তুনিয়া ইছব আলী ভূঁইয়া উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক (দপ্তরি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আটক আসাদুল্লাহ একই গ্রামের মৃত ফাইজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় অটোরিকশার চালক।
প্রত্যক্ষদর্শী হিরণ মিয়া বলেন, ‘দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আরিফুল ইসলাম স্কুলের সামনে আমার দোকানের এসে বসেছিলেন। কিছুক্ষণ পর আসাদুল্লাহ এসে পেছন দিক থেকে তার পিঠে ছুরি ঢুকিয়ে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আরিফুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তিনি মারা গেছেন। পরে উত্তেজিত লোকজন আসাদুল্লাহর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে ধরে এনে ওই বিদ্যালয়ের সামনে গাছে বেঁধে রেখে থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।’
বারিষাব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. সুলতানউদ্দিন জানান, আসাদুল্লাহ একজন অটোরিকশাচালক। তিনি চিহ্নিত মাদকসেবী হওয়ায় তার সঙ্গে এলাকার লোকজনের তেমন ভালো সম্পর্ক ছিল না।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, প্রায় দুই বছর আগে অটোরিকশায় চড়ে আরিফুল ভাড়া দেননি বলে দাবি করেন আসাদুল্লাহ। এ নিয়ে গতকাল শনিবার (১৯শে জুলাই) বিকেলে দু'জনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আসাদুল্লাহকে আরিফুল কয়েকটি চড়থাপ্পড় দেন। সেই ক্ষোভ থেকেই আজ এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে আসাদুল্লাহ উপস্থিত লোকজনের কাছে স্বীকার করেছেন।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন